হাফিজ সইদ ও জাকিউর রহমান লকভির মতো রাষ্ট্রপুঞ্জ ঘোষিত জঙ্গিরা এখনও পাকিস্তানে মুক্ত। এরই মাঝে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি নিধন নিয়ে ইসলামাবাদ বারবার দিল্লির দিকে আঙুল তোলে। এদিকে সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে ভারত বিরোধী জঙ্গিদের খতম করতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছে ভারত। সেই অভিযান এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে সরকার। এরই মাঝে পাকিস্তানে ‘অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজদের’ হানা নিয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে মুখ খোলেন বিদেশ সচিব।
সংসদীয় কমিটিকে বিদেশ সচিব সংসদীয় কমিটিকে জানান, সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হিসেবে পাকিস্তানের ট্র্যাক রেকর্ড সুপ্রতিষ্ঠিত। এই নিয়ে অকাট্য তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। এদিকে বিক্রম আরও জানান, পাকিস্তানের মাটিতে কিছু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত আছে বলে বারবার অভিযোগ করে পাকিস্তান। এভাবে তারা ভারতের সঙ্গে ‘মিথ্যা সমতুল্যতা টানার’ চেষ্টা করে। যদিও পাকিস্তানের সেই সব বক্তব্য ভিত্তিহীন।উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফের একবার পাকিস্তানে নিহত ভারত বিরোধী জঙ্গি। আজ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ হারায় এই জঙ্গি নেতা। জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গির নাম রাজাউল্লাহ নিজামানি ওরফে গাজি সাইফুল্লাহ। লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনে কমান্ডার পদে ছিল এই রাজাউল্লাহ নিজামানি।

২০০৬ সালে নাগপুরে আরএসএস সদর দফতরে হামলার ছক কষেছিল এই রাজাউল্লাহ নিজামানি। এছাড়া ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পেও হামলার মাস্টারমাইন্ড এই লস্কর জঙ্গি। এদিকে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেও ২০০৫ সালে হামলার ছক কষেছিল এই লস্কর কমান্ডার।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মাতলিতে নিজের বাড়ি থেকে বের হাওয়ার সময় অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজ গুলি করে রাজাউল্লাহকে। তার বুকে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে এই লস্কর জঙ্গি কমান্ডার। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার। এই নিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে পাকিস্তানে বহু ভারত বিরোধী জঙ্গি খতম হয়েছে।