পাক-মুখোশ টেনে খুললেন জয়শংকর

Spread the love

সদ্য ইউরোপের ৩ দেশে সফর করছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের নৃসংস হামলা ও তারপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জোরালো ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গ, তাঁর ইউরোপ সফরের নানান বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে। এবার জার্মানির বার্লিনেও সেই প্রসঙ্গে বক্তব্য রেখে কার্যত সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানের ভুল বোঝানোর চেষ্টায় ধুন্ধুমার আক্রমণ করলেন জয়শংকর। পাশাপাশি, কাশ্মীর নিয়ে পশ্চিমি মিডিয়ার প্রশ্নেও দিল্লির অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।

শুক্রবার বার্লিনে ‘জার্মান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস’ বা ডিজিএপি-তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি নানান প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। সেখানে পহেলগাঁওতে হামলা ও পাকিস্তান আশ্রিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের চরম পদক্ষেপের বিষয়েও জয়শংকর মুখ খোলেন। কাশ্মীর ও সন্ত্রাস ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন যেতেই বিদেশমন্ত্রী প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন যে বিষয়টি ‘কাশ্মীর সংঘাত নয়..জঙ্গি হানা নিয়ে।’ তিনি সাফ জানান, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছে ভারত, যেগুলি ‘বহু বছর ধরে সন্ত্রাসবাদকে আমাদের উপর চাপ প্রয়োগের প্রচেষ্টায় এক ধরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।’ এরপর তাঁর কাছে প্রশ্ন যায়,’কাশ্মীর সংঘাতের আন্তর্জাতিক প্রভাব’ নিয়ে। জয়শংকর সাফ জবাব দেন,’ প্রথমত, এটি কাশ্মীরে সংঘাত ছিল না, এটি ছিল একটি সন্ত্রাসী হামলা।’ ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর, ইউরোপের বুকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘একটি সন্ত্রাসী হামলা যা কেবল জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেই লক্ষ্য করে চালানো হয়নি, বরং ভারতের অন্যান্য অংশকেও লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।’

একই সঙ্গে তিনি বলেন,’ এটি স্পষ্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন আপনি এটিকে একটি সংঘাত হিসেবে উপস্থাপন করেন, তখন আপনি আসলে অপরাধী এবং ভুক্তভোগীকে একই স্তরে রাখছেন, কোনও মানে ছাড়াই।’ জয়শংকর বলেন, পহেলগাঁওতে ‘ভয়াবহ, বিশেষ করে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার’ উদ্দেশ্য ছিল ’কাশ্মীরের পর্যটন অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া এবং ভয়ের মনোভাব তৈরি করা’। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিলে পহেলগাঁও হানার তীব্র নিন্দা করেছে জার্মানিও। এমন আবহে সেই জার্মানিতে বসে জয়শংকর বলেন,’ সন্ত্রাসবাদের কথা বলতে গেলে, আমার মনে হয় আজ এমন কোনও দেশ নেই যারা বলবে যে, যা করা হচ্ছে আমি তাতে সমর্থন করি অথবা এমন কোনও দেশ নেই যারা বলবে যে যা করা হয়েছে আমি তার নিন্দা করি না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *