‘পাক যোগ’ নিয়ে সংসদীয় প্যানেলকে কী বলেন বিদেশ সচিব?

Spread the love

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির প্রাথমিক তদন্তে পাকিস্তানের মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে হামলাকারীদের সরাসরি যোগাযোগ ফাঁস হয়েছে। সোমবার সংসদীয় কমিটিকে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। জানানো হয়েছে, এই হামলায় ‘সুস্পষ্ট পদচিহ্ন’ পাওয়া গেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি লস্করের সঙ্গেই যুক্ত।

বিদেশ সচিব সংসদীয় কমিটিকে জানান, সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হিসেবে পাকিস্তানের ট্র্যাক রেকর্ড সুপ্রতিষ্ঠিত। এই নিয়ে অকাট্য তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে। এদিকে বিক্রম আরও জানান, পাকিস্তানের মাটিতে কিছু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত আছে বলে বারবার অভিযোগ করে পাকিস্তান। এভাবে তারা ভারতের সঙ্গে ‘মিথ্যা সমতুল্যতা টানার’ চেষ্টা করে। যদিও পাকিস্তানের সেই সব বক্তব্য ভিত্তিহীন।উল্লেখ্য, সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সংসদীয় কমিটিকে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত প্রথাগত সীমার মধ্যেই ছিল। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক হুমকির কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের আবেদনের পরই সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছিল।

এদিকে এর আগে ডোনল্ড ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন যে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নাকি পরমাণু যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্যত পরমাণু যুদ্ধ থামানোর জন্যে কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন। তবে বিক্রম মিশ্রি সাংসদদের জানান, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের কথা ভাবছে বলে কোনও ইঙ্গিতও মেলেনি। এদিকে সংসদীয় কমিটিকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে।’এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের কৃতিত্ব দাবি নিয়ে বিক্রম মিশ্রিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সংসদীয় কমিটির তরফ থেকে। জানতে চাওয়া হয়েছিল, কমপক্ষে সাত বার ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেছেন ট্রাম্প; ভারত কেন এখনও এই নিয়ে নীরব? কেন ট্রাম্পকে এই ধারণা প্রচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কেন ট্রাম্পকে নাক গলাতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে?বিদেশ সচিব অবশ্য জানিয়ে দেন, তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা ছিল না তাতে। আবার আমেরিকা কেন যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করল, তাতেও কোনও ভূমিকা নেই ভারতের। যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করা ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিশ্রি। কটাক্ষের সুরে নাকি বিদেশ সচিব বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মন্তব্য করার জন্য তার কাছ থেকে অনুমতি নেননি। জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও দেশেরই মন্তব্য করার অধিকার নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *