ভারতীয় সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্সের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’ কুনহা সম্প্রতি বার্তাসংস্থা এএনআই-এর একটি পডকাস্টে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা উল্লেখ করে ভারতের সামরিক দক্ষতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এরই সঙ্গে পাক সেনাকে নিয়ে তাঁর বার্তা, পাকিস্তানের গভীরে গিয়েও যেকোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে ভারতীয় সেনার।
সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি’কুনহা বলেন, ‘গোটা পাকিস্তান আমাদের সামরিক অস্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে। পাকিস্তান যদি তাদের সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার রাওয়ালপিন্ডি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরিয়ে নেয়, তাহলেও তাদের গভীর গর্ত খুঁজে বের করা হবে।’
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের মূল বিমানঘাঁটিগুলিকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর থেকে করাচি, সর্বত্র ভারতীয় ড্রোন থেকে মিসাইল পৌঁছেছিল এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় পাক সেনার মনে। রাওয়ালপিন্ডির নুর খান বেসে গভীর রাতে হামলার পর যে পাক সেনা প্রধান জেনারেল মুনির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ফোন করেছিলেন, তা শেহবাজ নিজেই বলেছেন।

এই আবহে ভারতীয় জেনারেল বললেন, ‘পাকিস্তানের মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত অস্ত্রভাণ্ডার ভারতের আছে। সুতরাং, তারা নিজেদের দেশে যেখানেই থাকুক না কেন, সমগ্র পাকিস্তান আমাদের অস্ত্রের সীমার মধ্যে রয়েছে। আমরা সক্ষম। আমাদের সীমান্ত থেকেই তাদের দেশে গভীরে আঘাত হানতে পারি। আমরা পুরো পাকিস্তানকে মোকাবিলা করতে পারি।ভারতীয় সেনা আধিকারিক আরও বলেন, ‘জিএইচকিউ রাওয়ালপিন্ডি থেকে সরিয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া বা যেখানে তারা যেতে চায়, সেখানে যেতে পারে, তবে তাদের সব জায়গাই আমাদের সীমার মধ্যে রয়েছে।’ এদিকে ভারতীয় সেনাকে প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ লাইসেন্স দিয়ে বলেছেন, এবার থেকে পাকিস্তান গুলি করলে ভারতীয় সেনা গোলাবর্ষণ করতে পারবে।