পাক ISI এজেন্ট শাহজাদ দিল বিস্ফোরক সব তথ্য

Spread the love

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রামপুর থেকে গ্রেফতার হয়েছিল শাহজাদ। জেরায় সেই শাহজাদই এবার বেশ কয়েকজন এজেন্টের বিষয়ে এটিএসকে তথ্য দিয়েছেন। সে স্বীকার করেছে যে উত্তরপ্রদেশের অনেক জায়গায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়নের কথা ছিল।

জানা গেছে, শাহজাদ যে সব এজেন্টদের কথা বলেছে, তারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে ভারতে গুপ্তচরবৃত্তি করছে। এই পাকিস্তনি এজেন্টরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয়। তারা কীভাবে কাজ করে এবং কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে গুপ্তচরবৃত্তি করা হচ্ছে সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে ধৃত শাহজাদ।

এটিএস আধিকারিকরা শাহজাদকে সীমান্তের ওপার থেকে চোরাচালান এবং পরিবহণ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। শাহজাদ এটিএসকে বলেছে, সে নিজের অনেক পরিচিতকেই এই গুপ্তচবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত করেছে। এই মানুষগুলো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করত তাকে। এরা নিজেদের এলাকার ক্যান্টনমেন্টের আশেপাশের দোকানদার ও চাওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এটিএস সূত্রে খবর, শাহজাদকে দিল্লি, রামপুর-সহ একাধিক জেলায় নিয়ে যাবে একটি দল।

উল্লেখ্য, আদালত শাহজাদকে ৩১ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। এটিএস সূত্রে খবর, এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল শাহজাদের থেকে। বেশ কয়েকটি কল ডিটেলস ও চ্যাট দেখিয়ে তাকে জেরা করা হয়েছিল। সেই সময় এই পাক গুপ্তচর জানিয়েছিল, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সে।

রামপুরের আজাদ নগর এলাকায় অবস্থিত ছিল শাহজাদের বাড়ি। সেই বাড়িতে বসবাসকারী সব সদস্যের কথা জেরায় জানিয়েছে শাহজাদ। পাক গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে সে প্রসাধনী ও কৃত্রিম গয়না পাচার শুরু করেছিল। সে স্বীকার করেছে যে সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা পার এজেন্টদের অর্থ সরবরাহ করত। তার কাছ থেকে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য এটিএস শীঘ্রই তাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবে।

এদিকে গুপ্তরচরবৃত্তির বিনিমে শাহজাদ আইএসআই থেকে টাকা পেত বলে স্বীকার করেছে। এদিকে কিছুদিন আগে হানিট্র্যাপের শিকার হয়ে দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করার ঘটনায় ধরা পড়া ব্যক্তিদের সঙ্গে শাহজাদের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে এটিএস। সেই ঘটনায় ধৃতদের নাম ফিরোজাবাদ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী রবীন্দ্র কুমার ও কানপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কর্মী বিকাশ কুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *