গোবিন্দা ও সুনীতা আহুজার সাংসারিক কলহ ফের প্রকাশ্যে। পারশ ছাবড়ার পডকাস্টে এসে সুনীতা আহুজা সম্প্রতি তাঁদের পারিবারিক পুরোহিত নিয়ে কিছু মন্তব্য করে বসেন। এবার বউয়ের হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন গোবিন্দা।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে গোবিন্দা একটি ভিডিয়ো বিবৃতি শেয়ার করেছেন, যেখানে তাঁকে তাদের পুরোহিতের দক্ষতা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিয়োতে তিনি বলছেন, ‘আমার স্ত্রী পডকাস্টের সময় পণ্ডিত মুকেশ শুক্লাকে নিয়ে কিছু অনুপযুক্ত মন্তব্য করেছিলেন এবং আমি তার তীব্র নিন্দা করছি। আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। পণ্ডিত মুকেশ শুক্লা এবং তাঁর পরিবার কঠিন সময়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাঁর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।’
কী বললেন সুনীতা?
পারস ছাবরার পডকাস্টে তাঁরা প্রতারক গডম্যানদের সম্পর্কে কথা বলছিলেন। তখন সুনীতা বলে ওঠেন, ‘আমাদের বাড়িতেও এরকম একজন আছে!’ সুনীতা এরপর আরও বললেন, ‘উনি গোবিন্দের পুরোহিত। সে ভুয়া। তিনি নতুন আচার-অনুষ্ঠান এবং পূজার পরামর্শ দিতে থাকেন এবং তার জন্য অর্থ চার্জ করতে থাকেন। এই পুজো করো, আর ২ লাখ টাকা দাও। এসব পুজোআর্চার নামে ২-১০ লাখ টাকা খরচ করা আমি একদম সহ্য করতে পারি না।’
‘আমি মনে করি সকালে জলদি জলদি ঘুম থেকে ওঠো, নিজের প্রার্থনা নিজে করো। অন্য কারও পুজো করাতে কী করে তোমার উপকার হতে পারে। ‘২ লাখ টাকা দাও,এই যজ্ঞ করলে তোমার পরিবারের ভালো হবে’, এসব বুজরুকিতে আমি একদমই বিশ্বাস করি না।’
এই পডকাস্টে গোবিন্দা ও তাঁর কাছের মানুষদের নিয়েও কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুনীতা। বলেন, ‘এখন চিচিকে ওজন কমাতে হবে এবং সুন্দর দেখতে হতে হবে। তার ত্বক খারাপ হয়ে গেছে। ওর নিজের যত্ন নেওয়া উচিত, এটাই আমার ইচ্ছা। আমার মনে হয় সমস্যাটি হ’ল তাঁর চারপাশের লোক ভালো না। তিনি যে বৃত্তে বসে আছেন, তাতে বোকা লেখক আছেন যারা লেখক কম এবং বেশি বোকা। তারা তাকে বোকা বানিয়ে ভয়াবহ উপদেশ দেয়। সে ভালো মানুষ পায় না। আর তারা আমাকে পছন্দ করে না কারণ আমি সত্যি কথা বলি। সবাই আমার বিরুদ্ধে ওর কানে গিয়ে কথা লাগায়। ইচ্ছা যে, আমি একটি বৃদ্ধাশ্রম এবং পশুদের জন্য কিছু আশ্রয় তৈরি করতে চাই। আমি আমার নিজের অর্থ দিয়ে এটি করার কথা ভেবে রেখেছি। আমি গোবিন্দার কাছ থেকে এক টাকাও নেব না, কারণ সে আমাকে টাকা দেবে না, শুধু তার চামচাদের দেবে।’

গোবিন্দা এবং সুনীতা সম্পর্কে:
গোবিন্দা এবং তার স্ত্রীর মধ্যে বহুদিন ধরেই আসছে বিচ্ছেদের খবর। ১৯৮৭ সালে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন। এবং অনেকবছর গোপন রাখেন, তাদের মেয়ের জন্মের পরেই এটি প্রকাশ করেছিল। তাঁদের দুই সন্তান, মেয়ে টিনা আহুজা, যিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ছেলে যশবর্ধন আহুজা, যিনি বর্তমানে বলিউডে অভিষেকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।