‘পিওকের অধিবাসীরা আমাদেরই পরিবারের অংশ..ওঁরা ফিরবেন একদিন!’

Spread the love

‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতীয় পরিবারের অংশ। তাঁরা ভারতের ফিরে আসবেনই।’ এমনই জোরালো দাবি করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, একদিন ওই এলাকার জনগণ নিজেরা উদ্যোগী হয়ে ভারতের মূলস্রোতে ফিরে আসবেন। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষের পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ফের একবার দৃঢ় অবস্থান নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

দিল্লিতে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি সম্মেলন থেকে রাজনাথ সিং পিওকে-এর জনগণের প্রতি ভারতের আবেগ ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে।রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অংশ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইয়েরা রাজনৈতিক ও ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, তাঁরা একদিন নিজেরাই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করবেন।’ রাজনাথ সিং আরও বলেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বহু মানুষ ভারতের সঙ্গে আত্মিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অনুভব করেন। তাঁদের একটা অংশকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সময় এলে তাঁরাও সত্য উপলব্ধি করবেন এবং ভারতের সঙ্গেই নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখবেন।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন যে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ আপাতত বিভ্রান্ত হলেও, তাদের হৃদয় আজও ভারতের সঙ্গে আবদ্ধ।

পাকিস্তানের প্রতি ভারতের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের একমাত্র আলোচ্য বিষয় দুটি-সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর। আমরা বারবার বলেছি, ভারত শান্তিতে বিশ্বাস করে, কিন্তু দুর্বলতা নয়। আমরা শক্তির মাধ্যমে নয়, ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং সত্যের পথে হেঁটেই জনগণের মন জয় করতে চাই।’ এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু অভ্যন্তরীণ জাতীয়তাবাদের জোরালো বার্তা নয়, বরং আন্তর্জাতিক স্তরেও পাকিস্তানের প্রতি এক স্পষ্ট কূটনৈতিক সংকেত। ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থান যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, রাজনাথের বক্তব্য তা আরও একবার প্রমাণ করল। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত কখনও আক্রমণকারী হয়নি, কিন্তু কেউ চোখ রাঙালে আমরা ছেড়ে কথা বলি না।’ রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল, যখন আন্তর্জাতিক মহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে বিতর্ক ক্রমাগত তীব্রতর হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *