‘অপারেশন সিঁদুর’-র পরে পাকিস্তানের হামলায় শহিদ হয়েছেন বাবা। আর বাবার মৃত্যুর বদলা নেবেন বলে দৃঢ়প্রত্যয়ের সঙ্গে জানালেন ভারতীয় বায়ুসেনার মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট সার্জেন্ট সুরেন্দ্রকুমার মোগার ছোট্ট মেয়ে। জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর বায়ুঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন ৩৬ বছরের ভারতীয় জওয়ান। শনিবার (ইংরেজি মতে) ভোররাতের দিকে পাকিস্তানের হামলায় শহিদ হন।
আর সেই খবর পাওয়ার পরে ভেঙে পড়েছেন ভারতীয় জওয়ানের ১১ বছরের মেয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা খুব ভালো ছিল। শত্রুদের মেরে-মেরে নিজে শহিদ হয়েছে। কিন্তু আমার বাবা দেশের রক্ষা করে গিয়েছে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুরো পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দিতে হবে। নামটাও যেন না থাকে। আমি আমার বাবার মতো ফৌজি হতে চাই। আমি আমার বাবার মৃত্যুর বদলা নেব। বেছে-বেছে বদলা নেব আমার বাবার হয়ে।’
আর সেই কথাগুলো যখন বলছিলেন শহিদ জওয়ানের মেয়ে, তখন গলা ধরে আসছিল। চোখ থেকে বেরিয়ে আসছিল জল। চোখের জল কোনওক্রমে সামলে যখন সেই কথাগুলো বলছিল ১১ বছরের মেয়ে, তখন তাঁর চোখেমুখে একরাশ ফৌজি বাবার জন্য একরাশ গর্ব ছিল। আর গর্বের সঙ্গে একটা রাগ ছিল, যা ফেটে বেরিয়ে আসছিল শহিদ জওয়ানের মেয়ের মধ্যে থেকে।

সুরেন্দ্রকুমার মোগা আদতে রাজস্থানের ঝুনঝুনুর বাসিন্দা ছিলেন। ঝুনঝুনুর জেলাশাসক রামাবতার মীনা বলেছেন, ‘উধমপুর বায়ুঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার ৩৯ তম উইংয়ে মোতায়েন ছিলেন সুরেন্দ্রকুমার মোগা। শনিবার ভোররাতে পাকিস্তানের হামলায় তিনি শহিদ হয়েছেন। সকালে সেই খবর পুলিশ সুপার শরদ চৌধুরীকে জানাই। আর তাঁর সঙ্গে গিয়ে পরিবারকে ওঁনার মৃত্যুর খবর জানাই।’ শহিদ জওয়ানের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, ১৪ বছর ধরে সামরিক বাহিনীতে যুক্ত ছিলেন সুরেন্দ্রকুমার মোগা। আগে লখনউয়ে ছিলেন। মেরেকেটে দু’মাস আগে উধমপুরে বদলি করা হয়েছিল। গত মাসে নয়া বাড়ির অনুষ্ঠানের জন্য শেষবার ঝুনঝুনুতে এসেছিলেন। তারপর ২০ এপ্রিল উধমপুরে বায়ুঘাঁটিতে ফিরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের এক সদস্য। যিনি নিজেও ভারতীয় সেনায় ছিলেন।