বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই যে খবরটি শিরোনাম ছিনিয়ে নিয়েছে, সেটি হল কম পারিশ্রমিকের কারণে একটি সিনেমা থেকে বেরিয়ে যান দীপিকা পাড়ুকোন। সিনেমায় যেখানে প্রভাসকে ১০০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে সেখানে তিনি ২০ কোটি টাকার বিনিময়ে কাজ করতে অস্বীকার করেন।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলারা পুরুষদের থেকে কম বেতন পান, এমন লিঙ্গ বৈষম্যের কথা বহুবার শোনা গিয়েছে বলিউড অন্দর থেকে। তবে এমনও একজন অভিনেত্রী ছিলেন যিনি শাহরুখ, খান সালমান খান, এমনকি অমিতাভ বচ্চনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন পারিশ্রমিকের দিক থেকে।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শাহরুখ, সলমন এবং আমির, এই তিন অভিনেতা শীর্ষ তালিকায় ছিলেন। পারিশ্রমিকের দিক থেকে পিছিয়ে ছিলেন না সানি দেওল এবং সঞ্জয় দত্তও।৯০ দশকে অভিনেতারা প্রতি ছবি পেতেন ৫০ থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা। ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময় যখন কমল হাসান এবং অমিতাভ বচ্চনের ছবি এক কোটির ক্লাবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছিল, তখন এই দলে নাম লিখিয়েছিলেন এই নায়িকাও।

৯০ দশকের অন্য বিখ্যাত অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত, জয়াপ্রদাকেও পারিশ্রমিকের দিক থেকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন এই নায়িকা। শুধু বলিউড নয়, তামিল এবং তেলুগু ছবিতেও শীর্ষে নাম ছিল এই অভিনেত্রীর।এত সাফল্য থাকা সত্ত্বেও ১৯৯৭ সালে জুদাই ছবিতে শেষ অভিনয় করেছিলেন তিনি। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে দুই সন্তানকে লালন পালন করার জন্য ১৫ বছরের দুরন্ত কেরিয়ারকে বিদায় জানিয়ে দেন তিনি।
এতক্ষন যার কথা আপনি ভেবেছেন, ঠিকই ভেবেছেন। ভারতের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক প্রাপ্ত নায়িকা ছিলেন শ্রীদেবী। ২০১২ সালে ইংলিশ ভিংলিশ ছবির মাধ্যমে ফের বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন তিনি। তাঁর সর্বশেষ ছবি ছিল মম।