প্যারালাইসিস হয়ে পড়ে যায় শরীরের বাঁদিক! তবুও কাজ থামাননি শোলের ‘মৌসি’

Spread the love

শোলে ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল হেমা মালিনির মাসির চরিত্রে। সেই অভিনেত্রীর নাম লীলা মিশ্র। জানা যায় তিনি দারুণ পেশাদার ছিলেন। এমনকি তাঁর প্যারালাইসিস হওয়ার পরও তিনি কাজ থামাননি। কী জানা গেল তাঁর বিষয়ে আর?

বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সাই পরাঞ্জপাই সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কথা বলেন লীলা মিশ্রকে নিয়ে। সেখানেই তিনি প্রয়াত অভিনেত্রীর বিষয়ে নানা অজানা কথা তুলে ধরেন। জানান তাঁর দেখা অন্যতম পেশাদার অভিনেত্রী ছিলেন শোলে ছবির হেমা মালিনীর এই মৌসি ওরফে লীলা মিশ্র।

ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাই তাঁর বিষয়ে জানান, ‘ওঁকে দেখে বোঝা যেত পেশাদার অভিনেত্রী কেমন হওয়া উচিত। আমি ওঁর মতো আর কাউকে দেখিনি। উনি সেই অর্থে হয়তো শিক্ষিত ছিলেন না কিন্তু সিনেমা বানানোর প্রতিটি বিষয় জানতেন। চশমে বুদুর ছবিতে যেখানে তাঁর সিঁড়ি দিয়ে উঠে ছেলেদের ঘরে ঢোকার সিন ছিল সেটা তিনি নিজের মতো করে করেছিলেন যাতে ব্যাপারটা বাস্তবসম্মত দেখতে লাগে।’ তিনি এদিন একই সঙ্গে বলেন, ‘আমি ওঁকে নিয়ে একটা কথা শুনেছিলাম। উনি যখন ওঁর শেষ ছবিটি করছেন তখন শ্যুটিং চলাকালীন প্যারালাইসিস হয় তাঁর। অর্ধেক শরীর পড়ে যায়। শ্যুটিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সবাই ভাবছিলেন যে তাঁকে মুম্বইয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তিনিই বিরোধিতা করেন। বলেন না, এখনও একটা সিন বাকি। তিনি ক্রুকে তাঁর সেই দিক থেকে শট নিতে বলেন যেদিকটা তিনি নড়াচড়া করতে পারছিলেন। শ্যুটিং শেষ করে তবেই মুম্বই ফেরেন তিনি। তার কিছুদিনের মধ্যেই মারা যান তিনি।’

এদিন সাই আরও জানান লীলা মিশ্র নাকি সত্যজিৎ রায়কে চিনতেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ উনি ওঁর পারিশ্রমিক নিয়ে দারুণ পার্টিকুলার ছিলেন। যত বড় বা ছোট চরিত্র হোক না কেন তিনি দিন প্রতি ১০০০ টাকা করে নিতেন। যখন তাঁকে সত্যজিৎ রায়ের শতরঞ্জ কে খিলাড়ি ছবির একটি চরিত্র অফার করা হয় তিনি চিনতেন না পরিচালককে। জিজ্ঞেস করেছিলেন কে সত্যজিৎ রায়। একই সঙ্গে জানতে চান তাঁর পারিশ্রমিকের বিষয়ে। তিনি যে পারিশ্রমিক নেন সেটা পাবেন কিনা জিজ্ঞেস করেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *