পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। এর আগে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার থেকে শুরু করে আকাশসীমা বন্ধের করার মতো ঘোষণা করেছে ভারত। এর জেরে পাকিস্তান অর্থনৈতিক ভাবে বেশ চাপে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে প্রতিবেশীর দেশের অসুবিধা আরও বাড়তে পারে ভারত। জানা গিয়েছে, এফএটিএফ অর্থাৎ ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ধূসর তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে প্রয়াস শুরু করেছে ভারত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তার দিক থেকেও ধাক্কা খেতে পারে পাকিস্তান।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত আরও দুটি বড় পদক্ষেপের কথা ভাবছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা প্যাকেজের বিষয়ে আপত্তি জানানো। এই ইস্যুর সঙ্গে অবগত বিশেষজ্ঞরা সংবাদপত্রকে বলেছেন, আইএমএফের মামলায় ভারত উল্লেখ করতে পারে যে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং ঘৃণ্য কার্যকলাপের জন্য অর্থের অপব্যবহার করছে।

পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতের এফএটিএফের অন্যান্য সদস্য দেশগুলির সমর্থনেরও প্রয়োজন। এই সব সিদ্ধান্ত এফএটিএফের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে নেওয়া হয়। এই প্লেনারি সাধারণত বছরে তিনবার মিলিত হয়, ফেব্রুয়ারি, জুন এবং অক্টোবরে। বিশেষ বিষয় হল এই তালিকায় যুক্ত হওয়ার অর্থ এফডিআই এবং মূলধন প্রবাহের উপর কোপ পড়বে।২০১৮ সালের জুন থেকে পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে ২০২২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানকে এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ভারতে আসা অবৈধ তহবিল বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল। পাকিস্তান এফএটিএফের সদস্য নয়, তবে এটি অর্থ পাচার সম্পর্কিত এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের অংশ। অন্যদিকে, ভারত এপিজির পাশাপাশি এফএটিএফেরও সদস্য।