এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার মধ্যেই বেসরকারি সংস্থার কর্মচারীদের আরও একটি সুখবর দিল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। ইপিএফওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ওভারল্যাপ সার্ভিস পিরিয়ড’-র কারণে কর্মীদের ট্রান্সফারের দাবি খারিজ করে দেওয়া যাবে না। যে সিদ্ধান্তের ফলে প্রচুর কর্মী লাভবান হবেন এবং ঝঞ্জাট থেকে মুক্তি পাবেন।
ওভারল্যাপ সার্ভিস পিরিয়ড’ বিষয়টা কী? যখন কোনও কর্মী একইসঙ্গে দুটি পৃথক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বলে দেখানো হয়, তখন সেটাকে ওভারল্যাপ সার্ভিস পিরিয়ড’ বলা হয়। ভুলবশত বা অন্য কোনও কারণে পুরনো সংস্থায় শেষ যেদিন কাজ করেছেন এবং নয়া সংস্থায় যেদিন যোগ দিয়েছেন, সেটা যদি ওভারল্যাাপ করে যায়, তখন এরকম সমস্যা হয়ে থাকে।
ইপিএফওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যথাযোগ্য কারণেই ‘ওভারল্যাপ সার্ভিস পিরিয়ড’ হতে পারে। তাই শুধুমাত্র ওই কারণেই কর্মীদের ট্রান্সফারের আবেদন খারিজ করে দেওয়া যাবে না। কর্মীরা যখন কোনও সংস্থায় কাজে যোগ দেন, তখন পুরনো কোম্পানি থেকে নতুন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যালেন্স ট্রান্সফার করে থাকেন।

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ইপিএফও যে নয়া ঘোষণা করল, তাতে আরও সহজে ট্রান্সফার করতে পারবেন কর্মীরা। কাস্টডিয়ান.লাইফের ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ কুণাল কাবরা জানিয়েছেন, ধরা যাক, কোনও কর্মী ২০ বছর কাজ করেছেন। কিন্তু কোনও দুটি প্রতিষ্ঠানে কাজের ক্ষেত্রে একটা দিনেও ওভারল্যাপ হলে টাকা আটকে যেত। এবার থেকে সেই ঝামেলা কেটে গেল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
এমনিতে এবার ইপিএফের সুদের হার ৮.২৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। সেই হারেই সাত কোটির বেশি ইপিএফএও গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সুদের টাকা ঢুকবে বলে জানানো হয়েছে। উপকৃত হবেন তাঁরা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তো সুদের হার ৮.১ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। যা ১৯৭৭-৭৮ সালের পরে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুদের হার বাড়িয়ে ৮.২৫ শতাংশ করা হয়।