ছবি থেকে মেগা সব ক্ষেত্রেই অনামিকা সাহাকে পেয়েছেন দর্শকরা। তিনি টলিপাড়াও এমন এক মানুষ যিনি অনেক ওঠাপড়ার সাক্ষী। কেবল যে টলিউড ইন্ড্রাস্টির ওঠাপড়ার তিনি সাক্ষী তেমনটা নয়। কাজের সুবাদের টলিউডের প্রথম সারির বেশির ভাগ নায়ক-নায়িকার সঙ্গেই তাঁর বেশ সদ্ভাব, আর সেই জায়গা থেকেই টালিগঞ্জের বহু জুটির ভাঙ্গা-গড়ার সাক্ষী থেকেছেন তিনি।
বাংলার ‘ইন্ড্রাস্টি’ মানে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক। একাধিক ছবিতে মা-ছেলে, শাশুড়ি-জামাইয়ের ভূমিকায় অনামিকা ও প্রসেনজিৎকে দেখেছেন দর্শকরা। পর্দায় তাঁরা কখনও একে অপরের খুব কাছের তো, কখনও সাপে-নেউলে। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের সম্পর্ক দিদি-ভাইয়ের মতোই খুব মধুর।
তাই প্রসেনজিতের ব্যক্তিগত জীবনের নানা মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছেন অনামিকা। জেনেছেন ইন্ড্রাস্টির প্রিয় বুম্বার মনের খবরও। তিনি নায়কের প্রেমের সাক্ষীও থেকেছেন।
একটা সময় নাকি অনামিকার শ্বশুরবাড়ির সোফায় বসে প্রেম করতেন প্রসেনজিৎ ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রী রায়! এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অনামিকা আনন্দ বাজার ডট কমকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে লাল সোফা রয়েছে, সেখানে বুম্বা আর দেবশ্রী এসে কত গল্প করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওঁরা গল্প করত। আমার মেয়ে মাঝে মাঝেই চলে আসত ওঁদের সঙ্গে কথা বলবে বলে। ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা।’ যদিও প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর সম্পর্ক টেকেনি। তা নিয়ে অবশ্য অনামিকারও বেশ আক্ষেপ রেয়েছে।
তিনি আরও এক ঘটনার কথা জানান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘দেবশ্রীর দাদা যখন মারা যায়, কী কান্না! গাড়ি করে ওঁকে আমার বাড়িতে নিয়ে এলাম। তার পর আলাদা এল বুম্বা। এখানে বসেই কত বোঝালো দেবশ্রীকে। তার পর গাড়ি করে নিয়ে চলে গেল।’