প্রায় ৩৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে

Spread the love

গাজার প্রায় ৩৫ শতাংশ এলাকা ইসরাইলি বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, উপত্যকায় ‘বাফার জোন’ সম্প্রসারণ বেড়েই চলেছে ইসরাইলের। এরই মধ্যে, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণে ২ কিলোমিটারের বেশি প্রশস্ত বাফার জোন তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

যেকোন অজুহাতে প্রতিনিয়ত গাজা ভূখণ্ড দখল করেই চলেছে ইসরাইল। সম্প্রতি ইসরাইলি গণমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভ জানায়, গাজার পূর্ব ও দক্ষিণে ২ কিলোমিটারের বেশি প্রশস্ত বাফার জোন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

পরিসংখ্যান বলছে, ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারের উপত্যকার প্রায় ৩৫ শতাংশ এখন ইসরাইলের দখলে। সামরিক পোস্ট, করিডর ও ঘাঁটির নামে চলছে নতুন সীমান্ত তৈরি।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, রাফার ফিলাডেলফি করিডোর থেকে মরাগ এক্সিস পর্যন্ত পুরো রাফাহ শহর এখন ইসরাইলি বাহিনীর ‘অপারেশনাল কন্ট্রোলে’। শুধু জেনেইনা নামের একটি এলাকা বাদে শহরটির আর কোনো অংশ ফিলিস্তিনিদের অধীনে নেই।

স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াকভ গার্ব জানান, ১৫টি বড় সামরিক পোস্ট তৈরি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। 

আরও ৫টি করিডর গাজাজুড়ে নির্মাণাধীন। গাজা সিটির শাজাইয়া ও তুফাহ এবং উত্তরে বেইত হানুন ও বেইত লাহিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায়ও সেনা মোতায়েন রয়েছে ইসরাইলের।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধজাহাজ, বিমান এবং ট্যাংঙ্ক থেকে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। শুক্রবার (১৬ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় এরইমেধ্যে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এর আগে গত ‍বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নাকবা দিবসে গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত হন আরও ১৪৩ ফিলিস্তিনি। আহত হন বেশ কয়েকজন।

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে নতুন ফাউন্ডেশন কাজ শুরু করলেও নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করায় এতে অংশ নিচ্ছে না জাতিসংঘ। এছাড়া নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *