প্রীতমের কাছ থেকে নানা অছিলায় টাকা আদায় করতেন? গোলাপি পোশাক পরা তরুণী

Spread the love

দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের সন্তান সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত ওরফে প্রীতমের মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা কম হচ্ছে না। তার মধ্যেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে ‘গোলাপি পোশাক পরা’ এক রহস্যময়ীকে নিয়ে।

সর্বপ্রথম এই তরুণীকে নিয়ে ফেসবুকে সরব হন ঝুমা ঘোষ নামে এক মহিলা। যাঁর ফেসবুকে প্রোফাইল রয়েছে ‘আমি ঝুমা’ নামে। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর পর দিনভর – গোলাপি কুর্তি পরা যে তরুণীকে দেখা গিয়েছে, তিনি নাকি সৃঞ্জয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। ঝুমা তাঁর পোস্টে আরও দাবি করেছেন, ওই তরুণী নিউ টাউনেই কোনও একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন এবং তাঁর বাড়ি নেতাজিনগরে।

ঝুমার দাবি, ওই তরুণী নিয়মিত সৃঞ্জয়ের ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন। অফিস ফেরত বাড়ি না গিয়ে তিনি নাকি সেখানেই ঢুকে যেতেন। সৃঞ্জয় তাঁকে বাড়ি যেতে বললে তিনি সৃঞ্জয়ের কাছ থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য ক্যাবের ভাড়াবাবদ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আদায় করতেন!

এরপর আবার সেই তরুণীই নাকি রিঙ্কুকে ফোন করে দাবি করতেন, তাঁর কাছ থেকেই উলটে সৃঞ্জয় টাকা নিয়েছেন। একথা শুনলেই রিঙ্কু আগাগোড়া ওই তরুণীকে তাঁর দাবি মতো টাকা মিটিয়ে দিতেন, যে টাকা কিনা আদতে সৃঞ্জয় কখনও ওই তরুণীর কাছ থেকে নেননি বলেই ঝুমার দাবি! রিঙ্কু নাকি ওই তরুণীকে বলেছিলেন, তিনি যাতে সৃঞ্জয়কে বিয়ে করেন। কিন্তু, তরুণী বারবার সেই প্রস্তাব এড়িয়ে যেতেন।

ঝুমা তাঁর পোস্টে আরও দাবি করেছেন, সম্প্রতি সৃঞ্জয় গোটা বিষয়টি তাঁর মা ও দিলীপ ঘোষকে জানান। এরপর রিঙ্কু ওই তরুণীকে তাঁর ছেলের ফ্ল্যাটে ঢুকতে বারণ করেছিলেন বলেও সংশ্লিষ্ট পোস্টে দাবি করা হয়। অথচ, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুর পর গোলাপি জামা পরা ওই তরুণীকে আগাগোড়া রিঙ্কুর পাশে দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে এমনটাও উঠে এসেছে যে সোমবার রাতে সৃঞ্জয়ের ফ্ল্যাটে হওয়া পার্টিতে ওই তরুণীও নাকি ছিলেন!

যদিও গোলাপি জামা পরা ওই তরুণীর এই মৃত্যুতে কোনও সংযোগ আছে, সরাসরি এমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত সৃঞ্জয়কে আর্থিক কারণে ব্যবহার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ঝুমা ঘোষ। বিষয়টি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষেরও নজরে পড়েছে। তিনি তাঁর সোশাল মিডিয় পোস্টে ঝুমা ঘোষের পোস্টের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *