প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ আছে সব্যসাচীর? 

Spread the love

২০২২ সালে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেত্রা ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেই শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি আত্মীয়-পরিবার-বন্ধু-অনুরাগীরা। ক্যানসার কেড়ে নেয় একটি ফুলের মতো প্রাণ। তবে বর্তমানে অভিনয়ে, ভিডিয়ো কনটেন্ট বানাচ্ছেন ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য। পেশায় যদিও তিনি ডাক্তার। তবুও ‘বোনু’র কথা রাখতেই, অভিনয়ে পা। ঐন্দ্রিল মারা যাওয়ার পর, আদৌ কি প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন সব্যসাচী, এই প্রশ্ন করেন অনেকেই। সম্প্রতি তা নিয়ে কথা বললেন ঐশ্বর্য।

ভালোবাসা দিয়ে অসুস্থ ঐন্দ্রিলাকে সবসময় আগলে রাখতেন সব্যসাচী। ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই হয়তো, অনেকটাই সহজ হয়েছিল, পাশে সব্যসাচী থাকায়। সেই সময়, ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার খুঁটিনাটি আপডেট ভাগ করে নিতেন সব্যসাচী সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে প্রেমিকার মৃত্যুর পরেই, ডিঅ্যাক্টিভেট করেন সব্যসাচী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি।২০২৩ সালে বিয়ের কথাও ছিল ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর। তবে তার আগেই থেমে যায় রূপকথার সফর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ‘আস্ক মি এনিথিং’ করেন ঐশ্বর্য শর্মা। সেখানেই একজন প্রশ্ন করেন, ‘সব্যসাীদার সঙ্গে কথা হয়? দাদা কেমন আছে?’ তাতে ঐশ্বর্য বলেন, ‘সব্যসাচী ভালো আছে। মাঝেমাঝে কথা হয়। কালকেও কথা হল। ও ভালো আছে। ভালো ভালো প্রোজেক্ট করছে। আমি ওর জন্য খুব খুশি। অল দ্য বেস্ট।’

আরেকজন ঐশ্বর্যকে বার্তা পাঠান, ‘ঐন্দ্রিলাদির কথা খুব মনে পড়ে। ওর ব্যাপারে কিছু বলুন।’ তাতে দিদি ঐশ্বর্য বলেন, ‘ঐন্দ্রিলা তো সবসময় আমাদের সঙ্গেই আছে। ওর কথা তো সবসময় বলতেই থাকি। আলাদা করে আর কী বলব। ও সবটা জুড়ে আছে।’

ঐন্দ্রিলা চেয়েছিলেন একটি প্রযোজনা সংস্থা খুলতে, যাতে সেখান থেকে অনেক নতুনরা কাজ পায়। অনেক মানুষের স্বপ্নপূরণ হয়। অভিনেত্রী চলে যাওয়ার পর, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে পরিবার। খোলা হয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মা প্রোডাকশন। যা মূলত ঐশ্বর্যই দেখাশোনা করেন। এমনকী, সেই সংক্রান্ত কাজেও প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সব্যসাচী।

মেয়ের চলে যাওয়ার যন্ত্রণা বুকে নিয়েই দিন কাটছিল পরিবারের। তবে কদিন আগে জানা যায় যে, চতুর্থবার ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মা শিখা শর্মা। ব্লাড ক্যানসার হয়েছে তাঁর।২০২২ সালের ২০ নভেম্বর, মাত্র ২৫ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে মহাশূন্যে পাড়ি দেন ঐন্দ্রিলা। ২ বার ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল শরীরে। কেমো নিয়ে পড়ে গিয়েছিল সব চুল। তবে লড়াই থামাননি। এক মুখ হাসি নিয়েই, বেঁচে থাকার অদম্য ইচ্ছে নিয়ে চালিয়েছিলেন যুদ্ধ। আর তাতে কাঁধ কাঁধ মিলিয়েছিলেন সব্যসাচীও। ভালোবাসার মানুষের শেষযাত্রাতেও সঙ্গী ছিলেন। শেষ বিদায়ে তাঁর ঐন্দ্রিলার পায়ে চুমু খাওয়ার সেই দৃশ্য আজও চোখ ভেজায় মানুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *