সদ্য শনিবারই তাঁকে পাকিস্তান ‘২০২৬ নোবেল শান্তি পুরস্কার’র জন্য মনোনীত করেছিল। নোবেল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্যও রাখেন ট্রাম্প। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইরানে হামলা আমেরিকার। পরমাণু অস্ত্র ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইজরায়েলের সঙ্গে ইরানের সংঘাতের মাঝেই এবার মার্কিন যুদ্ধবিমান হানা দিল ইরানের বুকে। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে যে বার্তা দিয়েছেন, তা বেশ ইঙ্গিতবহ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল নামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে মার্কিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইরানে মার্কিন হামলার পর ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে তার প্রথম পোস্টে লেখেন,’আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা, যার মধ্যে ফোরডো, নাতানজ এবং এসফাহান রয়েছে, আমাদের অত্যন্ত সফল আক্রমণ সম্পন্ন করেছি।’ ।
ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে সাফ লিখছেন,’ সমস্ত বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে। প্রাথমিক স্থাপনা, ফোরডোতে বোমার একটি পূর্ণ পেলোড ফেলা হয়েছে। সমস্ত বিমান নিরাপদে বাড়ি ফেরার পথে।’ তাঁর পোস্টে একজায়গায় সাফ লেখা রয়েছে,’ফরডো শেষ (Fordow is gone)’। জানা গিয়েছে স্থানীয় সময় রাত ১০ টা নাগাদ ইরানে মার্কিন হামলার বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন ট্রাম্প।

মনে করা হচ্ছে আমেরিকার স্থানীয় সময় রাত ১০ টা নাগাদ তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ট্রাম্প বলেছেন যে অভিযানে বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে তবে মোতায়েন করা অস্ত্রের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন এখনও আরও তথ্য প্রকাশ করেনি। এদিকে, ইরানের তরফে আগেই মার্কিন মুলুককে সতর্কতা জানানো হয়। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেছিলেন,’ যে কোনও আমেরিকান হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের সূত্রপাত করবে।’
এর আগে, ইরানে স্থলসেনা মোতায়েনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর এই বিষয়ে কোনও আগ্রহ নেই। সব মিলিয়ে আপাতত ইরানের ৩ জায়গায় আমেরিকা হানা দিয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ইরান কোন পদক্ষেপ করে, বা তেহরানের নীতি কোনপথে হাঁটে সেদিকে তাকিয়ে দুনিয়া।