পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত নদী সদ্যই হড়পা বানে ফুঁসে ওঠে। এদিকে নদীর ধার ধরে বহু মানুষ তখন জড়ো হয়েছিলেন। এক পরিবার সহ সোয়াত নদীর ধারে পিকনিক করতে গিয়েছিল ১৮ জনের দল। প্রথমের দিকে নদীর জল কম থাকায় অনেকেই পায়ে হেঁটে নদীর মাঝ বরাবর চলে যান। এরপরই ঘটে যায় বিপত্তি। সোয়াত নদীতে আসে হড়পা বান।
সোয়াত নদীতে জল ক্রমেই বাড়তে থাকে। ততক্ষণে চারিদিকে জলের মাঝে পড়ে একটি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বিধ্বস্ব ওই পরিবার বা বাকি সকলে। তাঁদের সেই করু অবস্থার দৃশ্য অনেকে ভিডিয়ো বন্দিও করেন। এদিকে, জলের তোড় বাড়তে থাকে। স্রোতের মাঝখানে পড়ে ধীরে ধীরে যে পাথুরে অংশকে সম্বল করে এই পরিবারের সদস্য সহ বাকিরা দাঁড়িয়েছিলেন, সেই অংশটি জলে ডুবে যেতে থাকে। শেষে জলের তোড়ে ভেসে যান তাঁরা।
ফুঁসে ওঠা সোয়াত নদী পাকিস্তানে প্রাণ কেড়েছে ১৮ জনের মধ্যে ৭ জনের। এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইন্ডিয়া টুডে’। ৭ জনকে উদ্ধার করার খবর উঠে আসে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ বলছে, সোয়াত নদীর হড়পা বানে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে মোট। জনপ্রিয় পিকনিক স্পট মিঙ্গোরার কাছে নদীর জল বাড়তেই এই ঘটনা ঘটে। এদিকে, পাকিস্তানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত চিন।

চিনের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে গুইঝৌ প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়াও হাজার জন দক্ষিণ পশ্চিম চিনে হয়েছেন ঘরছাড়া। অন্যদিকে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় ৮০ হাজার জনকে বিপজ্জনক জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে বর্ষণে বিধ্বস্ত দক্ষিণ পশ্চিম গুইঝৌ প্রদেশে শনিবার নতুন করে কয়েক পশলা বৃষ্টি হ। এই নিয়ে এই সপ্তাহে ২ বার এমন বর্ষণ হল। এলাকায় ৩ লাখ মানুষের বাস। এলাকা গিরে রয়েছে ৩ টি নদী। রেকর্ড বৃষ্টিতে এলাকার রংজিয়াং নদী ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। এদিকে, গত ৭২ ঘণ্টায় শহরে যা বর্ষণ হয়েছে তা জুন মাসের গড় বর্ষণের দ্বিগুণ। ফলত ক্রমাগত বন্যা পরিস্থিতি কঠিন হচ্ছে চিনের গুইঝৌ প্রদেশে।