ফের কি কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ছক পাক সেনা প্রধানের?

Spread the love

অপারেশন সিঁদুর এখনও চলমান বলে জানিয়েছে ভারত। এরই মাঝে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ফের জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করলেন। সম্প্রতি এই নিয়ে তিনি বলেছেন, ভারত যাকে সন্ত্রাসবাদ হিসাবে বর্ণনা করে তা একটি ‘বৈধ সংগ্রাম’ এবং পাকিস্তান কাশ্মীরি জনগণকে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নৈতিক সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখবে।’ 

গত ২৮ জুন পাকিস্তান নেভাল অ্যাকাডেমিতে পাসিং আউট প্যারেডে মুনির বলেন, ‘ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’বার বিনা উস্কানিতে আগ্রাসন চালিয়েছে এবং ভবিষ্যতে উত্তেজনা বৃদ্ধির দায় কিংবা আগ্রাসনের দায়ভার আগ্রাসীর ওপর বর্তাবে।’ এরই সঙ্গে ফের একবার কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা আখ্যা দেন মুনির।

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ১৬ এপ্রিল ইসলামাবাদে ওভারসিজ পাকিস্তানিজ কনভেনশনে মুনির একই ভাবে ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘ভারতীয় দখলদারিত্বের’ বিরুদ্ধে সংগ্রামকে সমর্থন করতে থাকবে ইসলামাবাদ। এবার ফের একবার একই সুর শোনা গেল মুনিরের গলায়। এই আবহে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, ফের কি পহেলগাঁওয়ের মতো কোনও জঙ্গি হামলার ছক কষছে পাকিস্তান? তবে এই ক্ষেত্রে ভারত আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছে, এরপর থেকে কোনও জঙ্গি হামলা হলে তা যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করবে ভারত।

গত ২৮ জুন মুনির বলেন, ‘কাশ্মীরের জনগণের ইচ্ছেকে দমন করার চেষ্টা করার চেষ্টা করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে সংঘাতের করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সবকিছু করে আন্দোলনকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব মেনে এবং কাশ্মীরিদের চাহিদা অনুযায়ী এই সমস্যার সমাধানের পক্ষে পাকিস্তান সর্বদা পাশে রয়েছে।’ 

মুনির বলেন, কাশ্মীর ইস্যুর ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ সমাধান ছাড়া ‘আঞ্চলিক শান্তি চিরকাল অধরা থেকে যাবে’ এবং ‘দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের চিরস্থায়ী বিপদ’ থাকবে। যারা ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করছে’ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মুনির বলেন, ‘পাকিস্তান সবসময় জম্মু ও কাশ্মীরের বীর জনগণের জন্য রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখবে।’ মুনির দাবি করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দু’বার বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন চালিয়েছে ভারত হয়েছে।মুনির বলেন, ‘গুরুতর উস্কানি সত্ত্বেও পাকিস্তান সংযম ও পরিপক্কতার সঙ্গে কাজ করেছে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। পাকিস্তান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে যদি ভেবে নেওয়া হয় যে ভবিষ্যতেও সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের মুখে পাকিস্তানের কোনও বাধ্যবাধকতা থাকবে, তাহলে সেই ধারণা বিপজ্জনক হবে। বিভ্রমের বশবর্তী হয়ে পাকিস্তানকে দুর্বল ভেবে কোনও শত্রু কোনও কাজ করলে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *