সৌদি আরবের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের একবার ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা নিয়ে নিজের পিঠ চাপড়ে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদিতে দাঁড়িয়ে গতকাল ট্রাম্প বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বড় আশা হল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা। আমি যুদ্ধ পছন্দ করি না… মাত্র কয়েকদিন আগে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা হিংসা বন্ধ করার ক্ষেত্রে আমার প্রশাসন একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।’
এরপর ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি এই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করার ক্ষেত্রে বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছি। আমি বলেছিলাম, চলুন একটা চুক্তি করি, কিছু বাণিজ্য করি। পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের বাণিজ্য নয়, চলুন আপনাদের তৈরি জিনিসপত্রের বাণিজ্য করি। উভয় দেশেরই খুব ক্ষমতাশালী, শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান নেতা রয়েছেন। সবকিছু থেমে গেছে এবং আশা করি এটি সেভাবেই থাকবে। ওরা একসঙ্গে চলছে। হয়ত আমরা তাদের একসঙ্গে বাইরে নিয়ে গিয়ে সুন্দর ডিনারও করতে পারি। এই সংঘাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারত।’

এদিকে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের রাতেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাকিস্তান কি তাদের মাটিতে চলতে থাকা সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে? এর জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র টমি পিগোট সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বললেন না। বরং এই জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল এটাই ফের একবার বলতে চাই যে, এই সপ্তাহান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই। শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা উভয় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করি… আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগকেও উৎসাহিত করতে চাই।’এর আগে অবশ্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন, ভারতের শক্তি দেখে পাকিস্তন গুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কোনও মধ্যস্থতায় তারা সংঘর্ষ বন্ধ করেনি। এই আবহে ট্রাম্পের বক্তব্যকে সরাসরি খণ্ডন করে ভারত। তবে ট্রাম্পও নিজের দাবিতে অনড় থাকছেন।এদিকে ট্রাম্প দাবি করেন, বাণিজ্যের ইস্যুতে ভারতকে নাকি তিনি সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য করেন। এই দাবি পুরোপুরি খণ্ডন করে রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের তরফ থেকে বণিজ্য সংক্রান্ত কোনও প্রসঙ্গই উত্থাপন করা হয়নি।’