বর্ষায় এবার ইলিশ মাছের আকাল দেখা দিতে পারে! কেন এমন আশঙ্কা?‌ 

Spread the love

বর্ষা আসতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু বর্ষা এলে কি বাঙালির পাতে সহজে পড়বে রূপোলি ফসল?‌ এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ইলিশ মাছে পাতে না থাকলে যেন বর্ষা পরিপূর্ণতা পায় না। আর এই বছরের বর্ষায় তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই জোর চর্চা শুরু হয়েছে ইলিশ মাছ নিয়ে। গত কয়েক বছরে ইলিশ মাছের আকাল দেখা গিয়েছিল। এবারও বাঙালির পাতে ইলিশ মাছে উঠবে কি না সেটা নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বাঙালির পাতে এই অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা দিতেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। কারও বক্তব্য, এই আবহে চড়া দামে ইলিশ মাছে বিকোবে। যা মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আবার কেউ এখন থেকে বাজারে বলে রেখেছেন। বর্ষায় ইলিশ মাছ এলে সরিয়ে রেখে খবর দিতে। এই আবহে মৎসজীবী সংগঠন সূত্রে খবর, ইলিশ মাছের আকাল এই বছরও দেখা দিতে পারে। সেটার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ হচ্ছে, সমুদ্রে এবার নামবে মাত্র ৫০ শতাংশ ট্রলার। বাকিরা তখন পড়ে থাকবে উপকূলে। সেক্ষেত্রে ইলিশ মাছও উঠবে কম।

ইলিশ মাছ কমছে বলে আগেই খবর মিলেছিল। তখন মৎস্য দফতর নানা চেষ্টা করলেও কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে তা এবারই বোঝা যাবে। এমন চর্চার মধ্যে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে যে হারে ইলিশ মাছ কমছে, তাতে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে ট্রলার মালিকদের। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ট্রলার মেরামত করে সমুদ্রে গিয়ে মাছ মেলেনি। সেক্ষেত্রে সবাইকে নামিয়ে লোকসান করার দরকার নেই। যদি ইলিশ মাছই না মেলে, তাহলে গিয়ে কী লাভ?‌ তাই এই বছর মালিকরা আর ঝুঁকি নিতে নারাজ।’

জুন মাস থেকেই শুরু হচ্ছে ইলিশ মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরার মরশুম। কিন্তু ট্রলারগুলির অর্ধেকই তো সমুদ্রে নামবে না। তাতেই বাঙালির পাতে ইলিশ মাছ নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা দিয়েছে। সমস্যার আর একটি দিক হচ্ছে বাংলাদেশ। ইলিশ মাছ এই বছর পর্যাপ্ত সরবরাহ ওপার বাংলা থেকে করা হবে কিনা সেটা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অশান্তির পরিবেশ তৈরি হওয়ায় তেমন আশা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই বাঙালির ভাপা–ভাজা–সরষে বাটার রসনায় ইলিশ যদি আবার অধরাই থেকে যায় সেক্ষেত্রে স্মৃতির স্বাদই হাতরাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *