‘বাঁচালেন!’ কেন বিয়ে করলেন?

Spread the love

দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কি সত্যি সত্যিই তৃণমূলের তলায় তলায় যোগাযোগ রয়েছে? জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশে বসে থাকার ছবি দেখার পরে এই কথাটি নিয়ে বার বার চর্চা হচ্ছে।

এবার টিভি ৯ বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে এনিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ।

কেন বিয়ে করলেন? দল তাড়িয়ে দিলে কী করবেন? দলকে শক্তিশালী করতে কী করা দরকার?

বিজেপিটা শিখতে হয়। বিজেপিটা হতে হয়। বললেন দিলীপ ঘোষ। কার্যত দিলীপের নিশানায় নব্য বিজেপিরা। যারা আজ দিলীপের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তির্যক মন্তব্য করছেন।

দিলীপ ঘোষ বলেন, আজ যদি পার্টির প্রয়োজন হয় বলবে, তারপর যদি পার্টি ভাবে…সোজা বলে দেবে তোমাকে আর দরকার নেই। আমি বলব বাঁচালেন। সাধারণ মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই। ২৩ বছর কী করেছি। সেবা কাজ করেছি করব। ঘর সংসার যাতে ছাড়তে পারি সেকারণে সংসার করেছি। মা কোনও দিন আমার সঙ্গে থাকেননি। ৫৫ বছর পরে মা এসেছেন। উনি এসেছেন। যাকে বিয়ে করেছি উনি এসেছে। উনি সাজেশন দিয়েছেন। এই বয়সে কেউ দরকার। এখন মাকে দেখার দরকার। আমাকেও দেখার দরকার। ভগবানও দেখবে না। পার্টিও দেখবে না। আমি বুড়ো বয়সে কী করব। ৬০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। অবসরের বয়স। আমি আগে থেকেই চলে যাব। মন্দিরে বসে হরেকৃষ্ণ করব। রাম রাম।যদি মনে করে যোগ্যতা আছে..তাহলে …

দলকে সাফল্য পেতে হলে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার?
রাজ্য সভাপতি করা উচিত। সংগঠনকে ঠিক করা উচিত। প্রত্যেকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

কাকে রাজ্য সভাপতি করা উচিত?
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি কাউকে জ্ঞান দিই না। সাজেশনও দিই না বিনা পয়সায়। আমি সাধারণ সিপাহী। আমার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে…যোগ্য লোক এসে গেলে, আমি দেখতে চাই বিজেপি আসুক। আমি হাত দিয়ে করি আর না করি। আমি দেখতে চাই। সেকারণে করছি। যে ঠিক করার করে দিয়েছে। মনে কোনও অভিমান নেই। আক্ষেপ নেই। ডিমান্ডও নেই। তৃণমূলের লোকেরা খুব কষ্ট পায় আমার সঙ্গে এই হয়েছে। আমি কাউকে কমপ্লেন করিনি। আগে যারা কমপ্লেন করত তারা সব চলে গেছে। আমি এখনও দাঁড়িয়ে আছি বিজেপিতে। কোনও পদ নেই। তবু আছি।

একেবারে খোলাখুলি নিজের কথা জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *