আদতে বীরভূমের বাসিন্দা। কিন্তু আটক করা হয় বাংলাদেশী সন্দেহে। সম্প্রতি বাংলা থেকে ওড়িশাতে কাজ করতে যাওয়া এমনই ১৬ জনকে আটক করেছিল ওই রাজ্যের প্রশাসন। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করার ঘটনায় নোটিস পাঠানো হল পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ওড়িশা সরকারকে এই চিঠি পাঠাল রাজ্য। বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যসচিব মনোজ আহুজাকে চিঠি পাঠান বাংলার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চিঠিতে গোটা ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
‘মাতৃভাষা বাংলা বলে অন্যায়ভাবে…’
চিঠিতে আটক শ্রমিকদের ভাষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ওই শ্রমিকদের মাতৃভাষা বাংলা বলে তাঁদের অন্যায়ভাবে ‘বাংলাদেশী’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা বেশ দুঃখজনক। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই ধরনের ঘটনা শুধু অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণ নয়, বরং মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারের পরিপন্থী।
হয়রানির ঘটনা বেড়েছে
চিঠিতে সাম্প্রতিককালে এমন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চিঠিতে বাংলার মুখ্যসচিব লেখেন, ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত কাজে যান রাজ্যের বহু শ্রমিক। তাদের ইদানীংকালেক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। চিঠিতে শ্রমিকদের পেশার কথা তুলে ধরে তাঁর অসহায়তার দিকটিও উল্লেখ করেন মনোজ পন্থ। চিঠিতে বলা হয়, হয়রানির শিকারের তালিকায় কেউ দিনমজুর তো কেউ আবার রিকশাচালক, কেউ কেউ আবার কাজ করেন পরিচারকের। ঘটনাচক্রে অনেকে আবার দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশায় বাসিন্দা।

কোথায় কোথায় ঘটছে এই ঘটনা?
চিঠিতে ওড়িশার কোন কোন অংশে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা-ও উল্লেখ করা হয়। মুখ্যসচিবের চিঠি অনুযায়ী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপড়া, ভদ্রক, পারাদ্বীপের আশপাশের এলাকা, মালকানগিরি, বালেশ্বর এবং কটকের মতো উপকূলীয় জেলাগুলিতে এই ধরনের ঘটনার শিকার হচ্ছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। কোনও নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই তাদের যখন তখন আটক করা হচ্ছে।