বাংলাদেশে পারদ চড়তেই মুখ খুললেন ইউনুসের প্রেস সচিব

Spread the love

বাংলাদেশের রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ইস্যু হল চট্টগ্রাম বন্দর। সদ্য গত ১৪ মে, চট্টগ্রামে একটি সরকারি কর্মসূচির মঞ্চ থেকে বন্দরকে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড’ বলে উল্লেখ করেন ইউনুস। এদিকে, বন্দরটির নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বা এনসিটির ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া হবে কি-না, তা নিয়ে জোরদার তর্ক বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে চলতে শুরু করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সংগঠন দাবি তোলে, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না। সুর চড়ায় বিএনপি। আজও সেখানে শ্রমিকদলের অবস্থান রয়েছে। সদ্য শেখ হাসিনাও তাঁর বার্তায় চট্টগ্রাম বন্দরের প্রসঙ্গ তোলেন। এই অবস্থায় মুখ খুললেন শফিকুল।

বাংলাদেশে চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে বেশ কিছুটা চাপে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। সদ্য সেদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলাম এই নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন,‘চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না’। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকার ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরামের আয়োজিত সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানে শফিকুল এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দরকে যেন ম্যানেজ করতে পারে, আমরা তা চাচ্ছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। আমরা চাই টার্মিনালে যেন তারা বিনিয়োগ করেন, ম্যানেজ করেন। ইতিমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি, তারা তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।

এদিকে, এই চট্টগ্রাম বন্দরের প্রসঙ্গ নিয়ে সদ্য প্রকাশিত শেখ হাসিনার অডিও বার্তাতেও নানান বিষয় উঠে আসে। তিনি ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। বলেন,’দেশ বিক্রির জন্য নয়। চট্টগ্রাম পোর্টও বিক্রি করতে চায়। এটিকে উন্নত করতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি, তবে পোর্ট সরকারের আওতায় থাকবে, আজ সেটাও বেচে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করছে।’ এদিকে, বাংলাদেশের মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, আজও চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বন্দর শাখা।সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে বাংলাদেশ জুড়ে ক্রমেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *