বাংলার এই পড়শি রাজ্যে মোবাইল অ্যাপে ভোটিং পেল ছাড়পত্র

Spread the love

বেজে গিয়েছে বাংলার পড়শি রাজ্য বিহারে বিধানসভা ভোটের রণদামামা। তার আগে, ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে বিহার পেল মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে ভোটদানের অনুমোদন। একথা জানিয়েছেন বিহারের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দীপক প্রসাদ। ফলত, রোদ, জল মাথায় না নিয়ে, মোবাইল অ্যাপে নির্দিষ্ট জায়গায় বসেই ভোট দিতে পারবেন ভোটদাতারা। কারা পাবেন এই ভাবে ভোটদানের সুযোগ?

শনিবার রয়েছে বিহারে পাটনা, রোহতাস, পূর্ব চম্পারন জেলার ৬ মিউনিসিপাল কাউন্সিলের ভোট। তার আগেই বিহারের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এই বড় ঘোষণা আসে। তবে চসতি বছরের বিধানসভা ভোটে এই মোবাইল অ্যাপেই ভোট হবে কি না, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য এখনও জানানো হয়নি। দেখে নেওয়া যাক, কারা এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন? এই প্রক্রিয়ায় ভোটদান কতটা ‘ট্যাম্পাপ প্রুফ’ তা নিয়েও মুখ খুলেছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন তাঁরাই, যাঁরা ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত নানা কারণে যেতে পারবেন না। এইভাবে ভোটদানের জন্য ভোটারদের কাছে থাক ফোনে থাকতে হবে ওই নির্দিষ্ট অ্যাপ। এই সুযোগ দেশের সিনিয়র সিটিজেন (জ্যৈষ্ঠ নাগরিক) রা পাবেন, বিশেষভাবে সক্ষমরা পাবেন, এছাড়াও পরিযায়ী ভোটার ও গর্ভবতী ভোটাররা পাবেন এই সুযোগ। বিষয়টি নিয়ে সদ্য ১০ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত একটি প্রচার অভিযান চালিয়েছে কমিশন।e-SECBHR মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ফোনে ডাউনলোড থাকতে হবে ই পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার জন্য। এই অ্যাপের সঙ্গে ‘ইলেকটোরাল রোল’-এ রেজিস্টার থাকা ফোন নম্বরের লিঙ্ক করতে হবে। প্রশ্ন উঠতে পারে এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের স্বচ্ছ্বতা বা নিরপেক্ষতা নিয়ে। এই বিষয়েও মুখ খুলেছে কমিশন। কীভাবে এর স্বচ্ছ্বতা বা নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে, তা নিয়ে কমিশন কী বলছে দেখা যাক।

নির্বাচন কমিশন বলছে, শুধু দুইজন রেজিস্টার্ট ভোটার ওই অ্যাপে লগ ইন করতে পারবেন একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করে। প্রতিটি ভোটে ভোটার আইডি দেখে নিয়ে নজর দেওয়া হবে। যাঁদের ফোন নেই, তাঁরা বিহারের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ভোট দিতে পারবেন। বিহারের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দীপক প্রসাদ জানিয়েছেন, ১০ হাজার ভোটারকে ইতিমধ্যেই ই ভোটিং সিস্টেমে রেজিস্টার করানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *