বাংলার প্রথম অমৃত ভারত স্টেশন উদ্বোধন

Spread the love

অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সীমান্তবর্তী রাজ্য রাজস্থান গিয়ে ১০৩টি নতুন অমৃত ভারত স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি স্টেশন কল্যাণী ঘোষপাড়া, পানাগড় এবং জয়চণ্ডী পাহাড়ও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর স্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকানের থেকে ভারতজুড়ে ১০৩টি পুনর্নির্মিত অমৃত ভারত স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।যার মধ্যে দেশনোকের স্টেশনটিও রয়েছে। এই নতুন বা পুনর্গঠিত স্টেশনগুলি দেশের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৬টি জেলায় অবস্থিত। গোটা প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়, কল্যাণী ঘোষপাড়া এবং জয়চণ্ডী পাহাড় এই তিন রেল স্টেশন। পানাগড় এবং কল্যাণী ঘোষপাড়া পূর্ব রেলওয়ার আওতায়। জয়চণ্ডী পাহাড় দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের অংশ।এই স্টেশনগুলিতে এখন উন্নত যাত্রী সুযোগ-সুবিধা, প্রবীন নাগরিকদের জন্য সুবিধা প্রদান, আধুনিক অবকাঠামো পাওয়া যাবে। স্টেশনগুলিতে আধুনিকতার সঙ্গে মিশে গিয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতি।

অন্যদিকে, এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর রাজস্থান সফরের রাজনৈতিক ও কৌশলগত তাৎপর্য উল্লেখযোগ্য। বিকানের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের নিকটবর্তী একটি কৌশলগত অবস্থান। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, যা পাকিস্তানের ড্রোন এবং মিসাইল হামলা এবং ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে আরও তীব্র হয়। তবে, গত শনিবার যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে একত্রিত করছে।

অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম কী?

অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম হল ভারতীয় রেলওয়ের একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প যার লক্ষ্য সারা দেশের ১,৩০০ টিরও বেশি রেলওয়ে স্টেশনের রূপান্তর ঘটানো। এই স্কিমটি আধুনিক সুযোগ- সুবিধা, আঞ্চলিক স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য এবং যাত্রী-কেন্দ্রিক পরিষেবাগুলিকে একীভূত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। ফলে স্টেশনগুলি হয়ে উঠছে শহরগুলির প্রবেশদ্বারও। অমৃত ভারত স্কিমে স্টেশন পুনর্নিমাণের পাশাপাশি বাস এবং মেট্রোর মতো অন্যান্য পরিবহন পদ্ধতির সঙ্গে একীভূত করার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রাখা, স্টেশনকে পরিবেশ বান্ধব করে তোলা, শব্দদূষণ মুক্ত ট্র্যাকের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে এই স্কিমে।এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল ভারতজুড়ে স্টেশনগুলিকে আরও পরিষ্কার, আরও আরামদায়ক এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ করে তোলা। এরমধ্যে প্রবেশ এবং প্রস্থান, ওয়েটিং রুম, শৌচাগার, প্ল্যাটফর্ম উন্নত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাছাড়া, যেখানে প্রয়োজন সেখানে লিফট, এসকেলেটর এবং বিনামূল্যে ওয়াই-ফাইয়ের মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়া হবে। কিছু স্টেশনে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জও রাখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *