বাংলা ছেড়ে এবার ভিন রাজ্যে অনামিকা

Spread the love

ধারাবাহিক থেকে ওয়েব সিরিজ, সর্বত্র একসময় চুটিয়ে কাজ করেছিলেন অনামিকা চক্রবর্তী। তবে এই মুহূর্তে কাজের অবস্থা তেমন ভালো নয়। যদিও কিছুদিন আগে ‘মিঠিঝোরা’ সিরিয়ালে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তারপর আর সেইভাবে আর ক্যামেরার সামনে আসতে দেখা যায় না অনামিকাকে।

তবে ক্যামেরার সামনে তেমন না এলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ সক্রিয় তিনি। স্বামী উদয় প্রতাপ সিংহের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ভিডিয়ো পোস্ট করে থাকেন অনামিকা। জীবনের ছোটখাটো সমস্ত মুহূর্ত তুলে ধরেন সমাজ মাধ্যমের পাতায়। এবার নিজের নতুন একটি সাফল্যের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন অনামিকা। ছবিটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মনে পড়ছে না, এতো লম্বা সময় ধরে কোনও পোস্টারে আমি আমার নিজেকে দেখেছি কিনা। ভীষণ ভালো লাগছে। আমি দারুণ খুশি।

ছবিটি পশ্চিমবঙ্গের কোনও জায়গার নয়, ছবিটি আসলে ত্রিপুরার। ত্রিপুরার একটি শহরে দীর্ঘ সময় ধরে একটি হোডিং-এ দেখা গিয়েছে অনামিকার মুখ। নিজেকে এই ভাবে ভিন রাজ্যের একটি পোস্টারে দেখে দারুণ খুশি অভিনেত্রী, তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সমাজ মাধ্যমের পাতায় তিনি একটি ভিডিয়ো করে জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ির পোষ্য বেলি ভীষণ অসুস্থ। পরিবারের নতুন এই সদস্যকে নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকেন অনামিকা আর তাই তার অসুস্থতায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। যদিও বেলি এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ।

তবে বিগত বেশ কয়েকদিনের চিন্তা এবং মন খারাপ একলহমায় সরে গেল যখন তিনি দেখলেন, ত্রিপুরার ব্যস্ত রাস্তায় হোডিংয়ে এখনও জ্বলজ্বল করছে তাঁর হাসিমুখ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই আনন্দটাই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্যই এই পোস্ট করেন অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, একজন যোগ্য অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কেন বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি বাড়িতে বসে রয়েছেন তা জানেন না অনামিকাও। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আগের থেকে এখন অনেকটাই স্থুল হয়েছেন, সেটাও কাজ না পাওয়ার অন্যতম কারণ কি না জানেন না অনামিকা। তবে নিজের কাজ নিয়ে মন খারাপ থাকলেও স্বামী উদয়ের কাজ নিয়ে ভীষণ খুশি তিনি। এই মুহূর্তে ‘পরিণীতা’ ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন উদয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *