ব্যক্তিগত সময় কাটাতে স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষকে(Rinku Ghosh) নিয়ে ত্রিপুরা পৌঁছে গেলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আজ (বৃহস্পতিবার – ২২ মে, ২০২৫) সকালে ত্রিপুরার শান্তি কালী আশ্রমে পৌঁছে যান তাঁরা। সেখনে ‘পদ্মশ্রী’ স্বামী চিত্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর আশীর্বাদ নেন নবদম্পতি। পরে তাঁরা প্রসিদ্ধ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির দর্শন করতে যান। মন্দিরে পুজোও দেন তাঁরা।
খবরে প্রকাশ, ঈশ্বরের দরবারে এসেও নিজের জন্য কিছুই চাননি লড়াকু রাজনীতিক দিলীপ। বদলে ঈশ্বরের কাছে স্ত্রীর জন্য শান্তি কামনা করেছেন তিনি। দিলীপের কথায়, ‘ও জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। বাকি জীবনটা যেন শান্তিতে থাকতে পারে।’

সদ্য সাতপাকে বাঁধা পড়েন রিঙ্কু ও দিলীপ। প্রবীণ দিলীপ ও প্রৌঢ়া রিঙ্কুর এই বিয়ের খবর যখন প্রকাশ্যে এসেছিল, সেই সময় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। অনেকেই আবার মন থেকে শুভকামনা জানিয়েছিলেন দিলীপ-রিঙ্কুকে। কটাক্ষও করেছিলেন অনেকেই। দিলীপ রিঙ্কু অবশ্য সেসব পাত্তা দেননি। এর কিছুদিনের মধ্য়েই নয়া বিতর্ক শুরু হয় যখন স্ত্রীকে নিয়ে সোজা দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন করতে পৌঁছে যান দিলীপ। হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, সেই ঘটনার পর থেকে দিলীপের সঙ্গে তাঁর দল বিজেপির একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
নবদম্পতিকে বিতর্ক চরমে ওঠে, যখন তাঁদের বিয়ের একমাস কাটতে না কাটতেই রিঙ্কুর একমাত্র এবং প্রথম পক্ষের সন্তান সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত ওরফে প্রীতমের মৃত্যু হয়। সমাজমাধ্যমে এক শ্রেণির মানুষ রিঙ্কুকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতা ও ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে যান। যদিও পরে জানা যায়, সৃঞ্জয়ের শরীরের একাধিক জটিল সমস্যা ছিল। তার জেরেই মৃত্যু হয় তাঁর।