বিএসএফের গুলিতে নিহত পাক নাগরিক

Spread the love

পহেলগাঁও জঙ্গিহানার জবাবে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রত্যাখ্যাত করেছে ভারত।এরপরেই সীমান্তে লাগাতার গুলিবর্ষণ শুরু করেছে পাক সেনা। দু’দেশের মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনার পারদ বাড়ছে। এই আবহে পাঞ্জাবের ফিরোজাবাদে আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিএসএফ-র গুলিতে নিহত হয়েছে এক পাকিস্তানি নাগরিক। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি সীমান্ত পেরনোর সময়ই বিষয়টি নজরে পড়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। তাঁকে বারবার সতর্কও করা হয়। কিন্তু বিএসএফ-র নির্দেশ মানেননি ওই পাক নাগরিক। বাধ্য হয়ে গুলি চালালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে ওই ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার দিকে এগোচ্ছিলেন। জওয়ানরা তাঁকে সতর্কবার্তা দিলেও তিনি থামেননি, বরং এগিয়ে আসতে থাকেন। বাধ্য হয়ে বিএসএফ নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী গুলি চালায়, এবং অনুপ্রবেশকারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। বিএসএফ আরও জানিয়েছে, রাত ২.৩০টে নাগাদ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন ওই পাকিস্তানি নাগরিক। ফিরোজপুরের লাখা সিংহওয়ালা পোস্টের ২০৭/১ নং ফটকের কাছে তাঁকে দেখতে পান ভারতীয় জওয়ানরা। এখনও পর্যন্ত ওই পাকিস্তানি নাগরিকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তিনি সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিক, না কি অন্য কোনও যোগ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।

গত রবিবারও পাঞ্জাবের গুরদাসপুরে এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করে বিএসএফ। ধৃতের নাম মুহাম্মদ হুসেইন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় পাকিস্তানি মুদ্রা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র। পরে তাঁকে পাঞ্জাব পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয় এবং তদন্ত চলছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পাঞ্জাব-সহ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানে সীমান্ত সংলগ্ন স্কুল-কলেজ সব বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থগিত বিমানও। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তরন তারনে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। পুলিশদেরও ছুটি বাতিল করেছে সরকার।পাঞ্জাবের মন্ত্রী আমান অরোরা বলেন, ‘সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমস্ত অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশ যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

তবে শুধু পাঞ্জাব নয় রাজস্থানেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজস্থান সরকার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিক এবং পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শ্রী গঙ্গানগর, বিকানের, জয়সলমেঢ় এবং বারমেঢ় – চারটি সীমান্ত জেলায় সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই চারটি জেলার প্রশাসন যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *