বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রীতি?

Spread the love

২ মাসের আগের ঘটনা। কংগ্রেসের দাবি ছিল প্রীতি জিন্টা নাকি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে তুলে দিয়েছেন, পরিবর্তে নাকি তাঁর ১৮ কোটির ঋণ মুকুব করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা দল। এমন অভিযোগে বেজায় চটেছিলেন অভিনেত্রী। কেরল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে পাল্টা তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া জবাব দিয়েছিলেন প্রীতি।

তবে ফের একবার সেই একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হল প্রীতি জিন্টাকে। এবার সরাসরি নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী। বিরক্ত অভিনেত্রী বলেন, তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করায় তিনি এবার ক্লান্ত। এটা তাঁর জীবনের সাধারণ আনন্দ কেড়ে নিয়েছে বলে জানান তিনি। প্রীতি জিন্টা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যে তাঁর বিজেপি (BJP) বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা আদৌ আছে কিনা।

ঠিক কী বলেছেন প্রীতি জিন্টা?

X-এ (পূর্বে Twitter) একটি AMA সেশনে প্রীতিকে এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, ভবিষ্যতে আপনি কি বিজেপিতে যোগ দেবেন?

এমন প্রশ্নে শুরুতে বেশ বিরক্তই হন অভিনেত্রী। বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে (social media) আজকাল লোকজনের এটাই সমস্যা, যে সকলেই সবকিছু নিয়ে বিচার করতে বসে যান।’ যদিও পরে নিজেকে শান্ত করে প্রীতি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যে মন্দিরে যাওয়া / মহা কুম্ভে যাওয়া এবং আমি কে? এবং আমার পরিচয় নিয়ে গর্ব করার মানে এই নয় যে আমি রাজনীতিতে বা বিজেপি-তে (BJP) যোগ দিচ্ছি। ভারতের বাইরে বসবাস করে আমি আমার নিজের দেশের আসল মূল্য বুঝতে পেরেছি। অন্য সবার মতো আমিও এখন ভারত ও ভারতীয়দের সবকিছুকে অনেক বেশি মূল্য দিই।’

এমন উত্তরের পর, সেই সোশ্যাল মিডিয়া (social media) ব্যবহারকারী জানান যে তিনি তাঁর সাম্প্রতিক টুইট (tweet) এবং জনসমক্ষে আসার কারণে কৌতূহলবশত প্রশ্নটি করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য প্রীতিকে বিচার করার জন্য ছিল না। নেহাতই কৌতুহলী হয়ে তিনি অভিনেত্রীর কাছে এই কথাগুলি জানতে চেয়েছেন।

এরপরই অবশ্য ওই নেটিজেনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রীতি। বলেন, আজকাল তাঁর পছন্দকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে, আর তাতেই তাঁর সাধারণ আনন্দ নষ্ট হচ্ছে।

প্রীতি জিন্টা বলেন, ‘আমি দুঃখিত যদি আমার উত্তরটা খুব রূঢ় শোনায়! আসলে এই প্রশ্ন থেকে আমার PTSD (Post-traumatic stress disorder) হয়েছে। আপনার প্রশ্নের উদ্দেশ্য স্পষ্টীকরণের জন্য ধন্যবাদ (হাত জোড় করা ইমোজি)। মা হওয়ার পরে এবং বিদেশে থাকার পরে আমি আসলে নিশ্চিত করতে চাই যে আমার সন্তানরাও যেন ভুলে না যায় যে তারা অর্ধেক ভারতীয়। যেহেতু আমার স্বামী একজন অজ্ঞেয়বাদী (অজ্ঞেয়বাদী ব্যক্তিরা মনে করে যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে কিনা, বা ঈশ্বর কেমন – তা জানার কোনো উপায় নেই)। তাই আমরা আমাদের বাচ্চাদের হিন্দু হিসেবেই বড় করছি।’

প্রীতির কথায়, ‘দুঃখের বিষয় হল, আমি ক্রমাগত সমালোচিত হচ্ছি এবং আমার এই ছোট ছোট আনন্দগুলি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কারণ, আমার পছন্দকে সবসময় রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় আমি কে বা আমার বাচ্চাদের তাঁদের শিকড় এবং ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়াতে আমি গর্ববোধ করি। কিন্তু এর জন্য আমায় ক্রমাগত জবাবদিহি করতে হচ্ছে…। চলুন এবার অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যাক…আপনাকে অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *