‘বিজেপির লজ্জা!’ মমতার পাশে দিঘায় দিলীপ! রেগে ফায়ার সৌমিত্র

Spread the love

দল অন্ত প্রাণ দিলীপ ঘোষ। বরাবরই এমনটাই দেখতে অভ্যস্ত বাংলা। বিশেষত বঙ্গ বিজেপি। দলের স্বার্থ রক্ষায় তিনি সব কিছু করতে পারেন। কিন্তু বুধবার যেন সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। দিলীপ ঘোষ সরাসরি গিয়ে হাজির হলেন জগন্নাথ মন্দিরে। দিঘাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে গিয়ে বসলেন একেবারে সস্ত্রীক।

মন্দির ঘুরে দেখলেন। এরপর অতিথিশালায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। এদিকে কাঁথিতে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর সনাতনী সম্মেলন। সেখানে নাকি ডাক পাননি দিলীপ। সেখানে যাননি। কিন্তু মমতার ডাকে চলে গেলেন জগন্নাথ মন্দিরে।

শুভেন্দু বলেন, আমি শুধু হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা বলব। অন্য কিছু নিয়ে নয়। কে কোথায় গিয়েছে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কিছু বলতে পারব না। কার্যত বিষয়টি নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে নারাজ শুভেন্দু। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে যে তিনি যথেষ্ট বিরক্ত সেটা অনুমান করতে পারছেন অনেকেই।

আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, শুনেছি ওঁকে আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওঁর স্ত্রীকেও আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই ওঁরা গিয়েছেন। এটা তো ওঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।

আসলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন সুকান্ত মজুমদারও। তবে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান অবশ্য ক্ষোভ চেপে রাখেননি। তিনি বলেন, উনি কি তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন? প্রশ্ন সৌমিত্র খাঁর।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন ‘ত্যাগী’ থেকে কিভাবে ‘ভোগী’ হতে হয় তার আদর্শ নিদর্শন আপনি দিলীপ বাবু।

বাবুল সুপ্রিয় থেকে মুকুল রায়, এদের তাড়িয়ে আজ নিজেই তাদের পথ অনুসরণ করছেন। কতটা নির্লজ্জ হলে এমন “আদর্শবান পুরুষ” হওয়া যায় তা চিন্তার বিষয়! বাংলার বিজেপি র লজ্জা আপনি।’

একেবারে সরাসরি আক্রমণ। ‘বিজেপির লজ্জা। ত্যাগী থেকে ভোগী’।

বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কোথায় যাবেন তা তাঁর ব্যাপার। তবে বিরোধী দলনেতা যেটা করেছেন সেটা পার্টির অনুমোদিত কর্মসূচি।

একদিকে কাঁথি থেকে গলা ফাটালেন শুভেন্দু। সনাতনীদের একছাতার তলায় নিয়ে আসতে মরিয়া চেষ্টা।আর উলটো দিকে দিঘাতে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে রীতিমতো গল্প করলেন দিলীপ। এর জেরে দলের নীচুতলার কর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। দিলীপ ঘোষের এই আচরণকে কিছুতেই মানতে পারছেন না অনেকেই। তবে কি দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে চাপে ফেলতেই বিশেষ কৌশল নিলেন দিলীপ ঘোষ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *