বিদ্যাসাগর সেতুর ২০টি দুর্বল কেবল! বন্ধ থাকতে পারে যান চলাচল

Spread the love

রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু হল বিদ্যাসাগর সেতু। প্রতিদিন এই সেতুর উপর দিয়ে প্রায় এক লক্ষ যানবাহন যাতায়াত করে। আবার রাজ্য সরকারের প্রধান সচিবালয় নবান্নে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও প্রশাসনিক দিক থেকে অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ হল বিদ্যাসাগর বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই গত এক বছর ধরে বিদ্যাসাগর সেতুর সংস্কার চলছে। সেতুর বিভিন্ন অংশে সংস্কার হয়েছে। বদল করা হয়েছে ব্রিজের নীচের অংশের ১৬টি হোল্ডিং ডাউন কেবল। এবার সেতুর বিভিন্ন অংশে দুর্বল হয়ে পড়া ২০টি স্টে কেবল দ্রুত পরিবর্তনের কাজে হাত দেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। দ্রুতই সেই কাজ শুরু হবে। তা নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ অধিকারীরা ভারপ্রাপ্ত সংস্থার সঙ্গে বৈঠক বসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।

১৯৯২ সালে বিদ্যাসাগর সেতু তৈরি হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর সুস্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত বছর থেকে সেতুর আমূল সংস্কার চলছে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। সেইমতো মেরামত থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি জার্মান সংস্থাকে। কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গত এক বছর ধরে ওই সংস্থা সেতুর বিভিন্ন অংশ সংস্থার করছে। সাধারণত স্টে কেবলগুলি সেতুর উপরের দিকে টান করে রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কাজটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে সবরকমের সতর্কতা অবলম্বন করতে চায়ছে নবান্ন। সেই কারণে এই বৈঠক করা হবে। তাতে হুগলি রিভার ব্রিজ কর্পোরেশন এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কীভাবে কেবল পরিবর্তন করা হবে? কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত? সেসমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

সূত্রের খবর, এর আগে যখন সেতুর নিচের অংশে ১৬টি হোল্ডিং ডাউন কেবিল পরিবর্তন করা হয়েছিল সেই সময় সেতুর ওপর দফায় দফায় কয়েকটি লেনে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এক্ষেত্রেও সেতুর ওপর একাধিক লেনে যান চলাচল বন্ধ করা হতে পারে। তবে তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।

নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুর্বল কেবলগুলি পরিবর্তনের পর ৮২৩ মিটার দীর্ঘ সেতুর বিয়ারিং বদল শুরু হবে। সেই কাজের জন্য কয়েকদিন ১২ ঘণ্টা করে সেতু দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখা হতে পারে। সবমিলিয়ে সেতুর মেরামত কাজ শেষ হতে আরও ১৫ মাস সময় লাগতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *