বিমানসেবিকার ভস্মীভূত ছাই ফিরল বাড়িতে

Spread the love

মেয়ের কিছু একটা যদি পাওয়া যেত।অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মৃত বিমানসেবিকার বাবা।নগান্থোই শর্মা,বয়স মাত্র ২১।আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ভেঙে পড়ে,যেখানে বীভৎস আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় বিমানসেবিকা। তার শরীরের কোনো অংশই পাওয়া যাচ্ছিল না।মণিপুরে বাড়ির সাথে বিমানে উঠে শেষ কথা বলেন নগান্থোই,তারপর টিভিতে খবর শুনে মেয়েকে ফোন করলে আর তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি বাবা মা।এই খবরে বার বার জ্ঞান হারান মা,আর সাথে বলতে থাকেন,কোথায় চলে গেলি সোনা?ফিরে আয় সোনা মা।

অবশেষে সেই বিমানসেবিকার ভস্মীভূত শরীরে কিছু অংশের ছাই ডিএনএ টেস্টে মেলে,এবং তা কফিনবন্দী করে বিমানে চড়ে মণিপুরের বাড়িতে পাঠানো হয়।মেয়ের শেষ দেখা পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা মণিপুর।ছোট মেয়েটা হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল ছিল,তার যে এমন দেহাবশেষ আসবে তা দু:স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি কেউ।বিমানে উঠে নগান্থোই শেষ ভিডিও করেন,যেখানে দেখা যায় তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানসেবিকার পোশাক পরে আছেন ও আরেক বিমানসেবিকার সাথে ধাক্কা খায় এবং তারা এই নিয়ে হাসাহাসি করেন।এই শেষ ভিডিওটি নগান্থোই তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন,যা তার তোলা শেষ ভিডিও। তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি ভয়ংকর পরিণতির কথা।আর সেই ফুটফুটে বাচ্চা মেয়েটির দেহ বলা ভুল ছাই কফিনবন্দী হয়ে ফিরবে তা সত্যি মর্মান্তিক। তার কফিনবন্দী দেহের উপর রয়েছে ফুটফুটে মেয়েটির হাসিমুখওয়ালা ছবি, যা সত্যিই বেদনাদায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *