বিমান যাত্রীদের জন্য সুখবর! টিকিট বাতিল করলে লাগবে না চার্জ

Spread the love

বিমান যাত্রীদের জন্য সুখবর! বিমানে ভ্রমণের পরিকল্পনা বদলালে সবচেয়ে বড় ঝামেলা হয় টিকিট বাতিল করতে গিয়ে। সাধারণত বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হয় যাত্রীদের। তবে এবার পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমানের টিকিট বাতিল করলে যাত্রীদের থেকে কোনও চার্জ নেবে না কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এমনই এক পরিকল্পনা করেছে অসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর।

কেন্দ্রীয় সরকার বিমান যাত্রীদের জন্য একটি উপহারের পরিকল্পনা করছে। সেই লক্ষ্যে দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ নতুন খসড়া নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, যাত্রীরা এখন বুকিংয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের টিকিট বাতিল বা পরিবর্তন করতে পারবেন। টিকিট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাতিল এর জন্য কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। প্রস্তাবিত ডিজিসিএ নিয়ম অনুমোদিত হলে, এটি সরাসরি বিমান যাত্রীদের সুবিধা দেবে, যারা জরুরি অবস্থায় তাদের টিকিট পরিবর্তন বা বাতিল করতে চান। এর ফলে এই ব্যক্তিরা আর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না। ডিজিসিএ বিমানে ভ্রমণকারীদের টিকিট বুকিংয়ের ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বিনামূল্যে পরিবর্তন বা বাতিলকরণের সময়সূচি প্রদান করবে। এর অর্থ হল, যদি কোনও যাত্রী বুকিংয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন করেন, তবে তাদের কাছ থেকে কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। এছাড়াও, ডিজিসিএ বিমান সংস্থাগুলিকে বাতিল বা পরিবর্তিত টিকিটের পরিমাণ দ্রুত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

তবে নতুন ফ্লাইটের ভাড়া যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভাড়ার পার্থক্যটাই গুনতে হবে। তবে এই সুবিধা সব বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বুকিংয়ের তারিখ থেকে যে সব দেশীয় ফ্লাইট ৫ দিনের মধ্যে উড়বে, ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ১৫ দিনের মধ্যে, সেক্ষেত্রে এই ফ্রি বাতিল বা পরিবর্তনের সুবিধা পাওয়া যাবে না। ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে স্বাভাবিক নিয়মেই ক্যানসেলেশন চার্জ ধার্য হবে। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যাত্রী বা তাঁর পরিবারের কারও চিকিৎসাজনিত জরুরি পরিস্থিতিতে এয়ারলাইন্স চাইলে টাকা ফেরত দিতে পারে বা ক্রেডিট সেল দিতে পারে। পাশাপাশি, ডিজিসিএ আরও কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে এসেছে যা বিমান যাত্রীদের উপর থেকে বোঝা কমাতে সাহায্য করবে। ডিজিসিএ-র এই প্রস্তাব বিমান যাত্রীদের অধিকার জোরদার করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি কেবল বিমান সংস্থাগুলির জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করবে না, বরং টিকিট বুকিং থেকে শুরু করে ফেরত পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে। যাত্রীরা এখন নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে তাদের ফ্লাইট বাতিল হলে বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে, তাদের অর্থ এবং সময় উভয়ই নিরাপদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *