বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোন অভিযোগ আনলেন শ্রীময়ী?

Spread the love

কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ ২০২৪ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। বর্তমানে মেয়ে কৃষভিকে নিয়ে তাঁর এখন ভরা সংসার। কিন্তু এদিন হঠাৎ একটি ভিডিয়ো করে বরের নামে নালিশ ঠুকলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। কী অভিযোগ আনলেন কাঞ্চনের নামে?

সম্প্রতি রটে গিয়েছিল যে কাঞ্চন মল্লিক নাকি গুরুতর অসুস্থ। সেই প্রসঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শ্রীময়ী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ‘পেশেন্ট’ কাঞ্চনও। এখানেই অভিনেত্রী জানান কাঞ্চন অসুস্থ হয়েছিলেন বটে, কিন্তু গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না। তাঁর কথায়, ‘আমাদের অনেক সাংবাদিক বন্ধু এবং পরিচিত বন্ধুরা ফোন করেছেন যে কাঞ্চন মল্লিক গুরুতর অসুস্থ। প্রথমে বলি আমার কাছে গুরুতর অসুস্থর সংজ্ঞাটা আমার কাছে আলাদা। কাঞ্চন গুরুতর অসুস্থ নয়, ভুল বুঝবেন না। তবে কাঞ্চন অসুস্থ হয়েছিল মাঝখানে। যে কোনও শারীরিক অসুস্থতাই তো অসুস্থতা।’

তিনি এদিন আরও বলেন, ‘গত ১৩-১৪ তারিখ থেকে কাঞ্চনের প্রায় দিন রাত শ্যুটিং চলছিল। গোটা রাত জেগে আর কী শ্যুট করছিল। আমাদের অন্য শ্যুটিংও ছিল। ১৫ তারিখে কাঞ্চনের প্রচণ্ড বাড়াবাড়ি হয়। লুজ মোশন আর বমি শুরু হয়ে যায়। কাঞ্চন সেটা ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ও অত হাসপাতাল, নার্সিং হোম পছন্দ করে না ভর্তি হতে। ১৬ তারিখে কাঞ্চন আর পারে না। সেদিন সকালে অন্য শ্যুটিং ছিল, রাতে রক্তবীজ ২ এর শ্যুটিং ছিল। সেখান থেকে ও ফোন করে জানায় যে ও আর পারছে না। তখন রাত্রিবেলা ওকে নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়।’ এরপরই তাঁকে অভিযোগ করতে শোনা যায় বরের নামে। শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, কাঞ্চন নাকি খুবই অবাধ্য, অভিনেতাকে বাড়ি থেকে রান্না করে টিফিন দিয়ে দেওয়া হলেও তিনি নাকি সেটে গিয়ে সেসব মোটেই খান না। বরং প্রোডাকশনের লোকজনকে দিয়ে খাবার আনিয়ে খান। বা কোনও সহকর্মী তেল মশলা যুক্ত কোনও খাবার খেলে সেটা খান। যদিও অসুস্থ হওয়ার পর কাঞ্চন কথা দিয়েছেন তিনি আর বাইরের খাবার খাবেন না।

এদিন এই ভিডিয়োতে কাঞ্চনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ফিট অ্যান্ড ফাইন আছি। ফুড পয়জনিং এবং ডায়রিয়া হয়েছিল। রক্তবীজ ২ এর শ্যুটিং চলছিল, প্রচণ্ড গরম ছিল। আমি তার মাঝে একদিন বন্ডে সই করে এসে রক্তবীজ ২ এর শ্যুটিং করি। উইন্ডোজ প্রোডাকসনকে অনেক ধন্যবাদ, ওঁরা অনেক হেল্প করেছেন। কিন্তু সেটা অনেক আগের কথা। এখন আমি একদম সুস্থ আছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *