ইতিহাস রচনা করে প্রথমবারের মতো আইসিসি ট্রফি জিতেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। এই সাফল্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানিয়েছেন হরমনপ্রীতদের। আর তারপরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এর আগে দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডের পরে মুখ্যমন্ত্রীর এক মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। যা নিয়ে এবার বিজেপিও তোপ দেগেছে মমতাকে।
হরমনদের ঐতিহাসিক জয়ের পর মমতা বলেন, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে আমাদের নারী দলের সাফল্যে পুরো জাতি গর্বিত। টুর্নামেন্টে তারা যে লড়াই এবং নিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছে তা তরুণ মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনারা প্রমাণ করেছেন যে শীর্ষ স্তরে আপনারা একটি বিশ্বমানের দল। আপনারা অনেক দুর্দান্ত মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন আমাদের। আপনারাই আমাদের হিরো। ভবিষ্যতে আরও বড় বিজয় আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’ আর মমতার এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জবাবে বিজেপি বলেছিল, ‘ওহ মাই গড, তাঁরা তো রাত ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন, কিন্তু আপনি মহিলাদের ৮টার মধ্যে বাড়ি চলে যেতে বলেছিলেন।’
দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ গণধর্ষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আগেও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কীভাবে মেয়েটি ক্যাম্পাসের বাইরে গেল। জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বেসরকারি কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কখন কে বেরোবে। বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে যেন তাঁরা না বেরোয়। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব আছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না।’ মমতার এই মন্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে মহিলা বিশ্বকাপে ভারত জিততেই ফের সেই তরজা শুরু হল।
