করোনার সময় যে সমীক্ষা হয়েছিল, তাতেই চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ভারত। এবার ২০২৫ সালেও তেমনটাই হতে চলেছে বলে জানাল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর ইউএনএফপি-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট জানিয়েছে ভারত ২০২৫ সালের শেষে টেক্কা দিতে পারে চিনকে। শুধু চিন নয়, গোটা বিশ্বের নিরিখে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা হবে দেশের।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের পপুলেশন ফান্ডের তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেই সমীক্ষায় ভারতের রেকর্ড জনসংখ্যার পাশাপাশি জন্মহার ও মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ার দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে জন্মহার কমে যাচ্ছে অপ্রত্যাশিতভাবে।
১৪ টি দেশের মোট ১৪ হাজার ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের এই বিশেষ সংস্থা। দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে তেমন ইচ্ছুক নন। কারণ? সন্তান পালনের দায়িত্বকে ভয় পাচ্ছেন?

রাষ্ট্রসংঘের সমীক্ষা বলছে, অনেকেরই ২ বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু সামাজিক ও আর্থিক অবস্থার কারণে বাস্তবায়িত হচ্ছে না অনেকের ‘স্বপ্ন’! মূলত নিম্ম ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এই সমস্যা প্রকট। সমীক্ষাটি করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, হাঙ্গেরি, জার্মানি, সুইডেন, ব্রাজিল, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নাইজেরিয়াতে।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ বাস করেন এই ১৪টি দেশে। তালিকায় নিম্ন, মধ্য এবং উচ্চ আয়, সবরকম দেশই রয়েছে। এমনকি বেশি জন্মহার ও কম জন্মহারের দেশও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।