‘আরজেডি ও কংগ্রেস বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের ছবি পায়ের কাছে রাখে। আর আমি তাঁর ছবি হৃদয়ের কাছাকাছি রাখি।’ বিহারের দাঁড়িয়ে বিরোধী দলগুলিকে একযোগে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিহারে একাধিক নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ৫৯০০ কোটি টাকার ২৮টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি বৈশালী-দেওরিয়া রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন।
সিওয়ানে জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলি শুধু বাবাসাহেবকে অপমান করছে না, বরং দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির স্বপ্নকেও বিশ্বাসঘাতকতা করছে।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব একটি চেয়ারের পাশে আম্বেদকরের ছবি রেখে তাতে পা তুলেছেন। আর সেই প্রসঙ্গে তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সম্প্রতি বাবাসাহেবের ছবির সঙ্গে আরজেডি কী করেছে তা পুরো দেশ দেখেছে….আমি জানি যে এই লোকেরা কখনও ক্ষমা চাইবে না, কারণ ওদের মধ্যে দলিত ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য কোনও শ্রদ্ধাবোধ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরজেডি এবং কংগ্রেস দেশের সংবিধানের রচয়িতার ছবি তাঁদের পায়ের কাছে রাখেন। আমি তাঁর ছবি হৃদয়ের কাছাকাছি রাখি।’
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, ‘পাঞ্জা ও লণ্ঠনের শাসনে বিহার দারিদ্রের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। এনডিএ বিহারকে উন্নয়নের রাস্তায় ফিরিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধান বলে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। আর ওরা বলে পরিবারের সাথ, পরিবারের বিকাশ। এটাই ওদের রাজনীতির সারাংশ। বাবাসাহেব এমন রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিলেন।’ পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘লাইসেন্স রাজ’-এর অভিযোগ শোনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে। তিনি বলেন, কংগ্রেসের লাইসেন্স রাজের সময় তাদের নেতারা বড়লোক হলেও গরিবরা একই অবস্থায় রয়ে গিয়েছেন।’ তাঁর কথায়, ‘আগে বিহারের কী অবস্থা ছিল, তা আজকের তরুণ প্রজন্ম শুধু শুনেছে। বিহারে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসে অনেক উন্নতি করেছে।’ পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলেও একসারিতে রেখে নিশানা করেছেন আরজেডি ও কংগ্রেসকে।

বিহারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ভারতের উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে বিহার। তিনি বলেন, ‘১.৫ কোটিরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ১.৫ কোটি বাড়িতে জল সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ৪৫ হাজারেরও বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। বিহারের অগ্রগতির জন্য, আমাদের এই গতি ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে হবে। গত ১০ বছরে, বিহারে প্রায় ৫৫ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।’