‘বেঁচে গেছি’ জ্বলছে বিমান! বেরিয়ে এলেন বিশ্বাস

Spread the love

বৃহস্পতিবার গুজরাটের আমদাবাদের একটি ভবনে আছড়ে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তারপরেও বেঁচে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বিমানটির একমাত্র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাথে বিমানে ছিলেন। বিমানের ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে কেবল বিশ্বাস কুমার রমেশ অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন, তিনি নিজেই বলেছিলেন যে তিনি যখন চোখ খুললেন এবং দেখলেন আগুনের লেলিহান শিখা এবং দগ্ধ দেহের পাশাপাশি ধ্বংসাবশেষ তাকে ঘিরে ফেলেছে। তখন তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তিনি বেঁচে আছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।

১১এ আসনে বসা রমেশ জানিয়েছেন, বিমানটি ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাঝ আকাশে আটকে যায়। রমেশ বলেন, বিমানটি ওড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবুজ ও সাদা আলো জ্বলে ওঠে৷ তবে বিমানটি আবাসিক এলাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে আঘাত হানার আগে উচ্চতা বাড়াতে পারেনি৷ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রমেশের ভাইও রয়েছেন।

দুর্ঘটনার পর রমেশের বাবাকে ভিডিও কল করা হয়৷ বেঁচে যাওয়া তাঁর আর এক ভাই জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর রমেশ তাঁর বাবাকে ফোন করে জানান, তিনি বেঁচে গিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁর সঙ্গে বিমানে থাকা ভাইয়ের কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না৷

বিধ্বস্ত হওয়ার পরে তিনি বাবাকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘ওহ, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি জানি না আমার ভাই কোথায় আছে। অন্য কোনো যাত্রীর দেখা নেই। জানিয়েছেন ওই যাত্রীর অপর এক ভাই।

নয়ন কুমার রমেশ স্কাই নিউজকে বলেন, ফোন করে ও বাবাকে বলেছিল ‘আমি জানি না আমি কীভাবে বেঁচে আছি, কীভাবে বিমান থেকে নেমেছি।

রমেশের চাচাতো ভাই অজয় ভালগি বিবিসিকে বলেন, দুর্ঘটনার পর রমেশ ইংল্যান্ডের লেস্টারে আত্মীয়দের ফোন করেন। বাড়িতে রমেশের স্ত্রী ও ‘ছোট ছেলে’ আছে জানিয়ে ভালগি বলেন, ‘উনি শুধু বলেছেন যে তিনি ভালো আছেন, আর কিছু নয়। রমেশের পরিবার ভাল থাকায় খুশি, তবে তারা ‘অন্য ভাইয়ের মর্মান্তিক পরিণতির জন্য শোকাহত,’ ভালগি বলেছিলেন।

শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে রমেশকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বলেন, ‘আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেছি। উনি আমার স্বাস্থ্যের খোঁজও নিয়েছিলেন,’ বিছানা থেকে বললেন রমেশ। ‘আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছি না কীভাবে আমি সেখান থেকে জীবিত বেরিয়ে এলাম। এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল আমিও মরতে যাচ্ছি। কিন্তু যখন চোখ খুলে চারপাশে তাকালাম, বুঝতে পারলাম আমি বেঁচে আছি। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি কীভাবে বেঁচে গেছি,’ বিশ্বাস কুমার মেঘানি নগর এলাকার কাছে দুর্ঘটনার পরের ঘটনাক্রমটি স্মরণ করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *