বেশি নাক গলাতে গিয়ে MI-র ক্ষতি করেছে মালিঙ্গা-জয়বর্ধনেরা

Spread the love

আইপিএলের কোয়ালিফায়ার ২-র ম্যাচে বারবারই সাইডলাইনে দেখা যাচ্ছিল মহেলা জয়বর্ধনে এবং লাসিথ মালিঙ্গার উপস্থিতি। এই প্রথম নয়, এর আগে এলিমিনেটর ম্যাচেও বারবার বোলার, ফিল্ডারদের পরামর্শ দিতে এগিয়ে আসছিলেন জয়বর্ধনেরা। একটা সময় এমন ছবিও দেখা গেছিল, যে বুমরাহকে বেশি জ্ঞান দিতে গেছিলেন জয়বর্ধনে, যা দেখে কোনও পাত্তাই দেননি মুম্বইয়ের পেসার। এবারও সেই একই কাজ করলেন মুম্বইয়ের কোচ, বোলিং কোচরা পঞ্জাবের বিপক্ষে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হল না, দল গাড্ডায় পড়ল। প্লে অফ থেকে ছিটকে গেল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে অনবদ্য জয় তুলে নিল শ্রেয়স আইয়ারের পঞ্জাব কিংস। মাত্র ৪১ বলেই ৮৭ রান করে MI-র বিরুদ্ধে পঞ্জাবকে একা হাতেই জেতালেন শ্রেয়স আইয়ার। অবশ্য জোস ইংলিসেরও কৃতিত্ব রয়েছে, কারণ তিনি বুমরাহ-র এক ওভারে ২০ রান তুলে নেওয়ায় পঞ্জাবের বেশ লাভই হয়েছিল। কারণ অনেক ম্যাচে বুমরাহ গোটা চার ওভারে ওর ২০-২৫ রানই দিয়ে থাকেন। সেখানে এই ম্যাচে তিনি দিলেন ৪০ রান, তাও কোনও উইকেট ছাড়াই।

২০১৪ সালের ফাইনালিস্ট পঞ্জাব মঙ্গলবার মুখোমুখি হবে ২০১৬ সালের ফাইনালিস্ট রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। দুই দলের যেই চ্যাম্পিয়ন হোক না কেন, এটা হবে তাঁদের প্রথম আইপিএল ট্রফি। এদিকে মুম্বইযের ডাগআউটে যেভাবে প্লে অফের ম্যাচগুলোয় মালিঙ্গা এবং জয়বর্ধনে অতিরিক্ত স্বক্রিয়তা দেখিয়েছেন, তা খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না মুম্বইয়েরই প্রাক্তন ক্রিকেটার হরজভন সিং।

ভাজ্জি কিছুটা বিরক্তির সুরেই বলছেন, ‘একবার মুম্বইয়ের ডাগআউটের দিকে দেখ। যখন বোলাররা রান দিয়ে ফেলছে, তখন অতিরিক্ত স্বক্রিয়তা দেখানো হচ্ছে বাইরে থেকে। বুমরাহ-র মতো বোলারকে কোচ বলে দিচ্ছে, কি করবে আর কি করতে হবে না। একটা ড্রেসিংরুমকে সব সময় ধৈর্যশীল এবং শান্ত থাকতে হয়। কোচের উচিত শুধুমাত্র পরামর্শ দেওয়া। এতটা অতিস্বক্রিয়তা বা মরিয়া মনোভাবের দরকার নেই। তাই আমার মনে হচ্ছে, খেলায় যদি এরকম বেশি হতে থাকে তাতে দলের মনোবলই ধাক্কা খায়। ’

মালিঙ্গা তুলনায় এসব থেকে একটু দূরে থাকলেও মহেলা জয়বর্ধনে তো সারাক্ষণই ডাগআউট থেকে ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়েই গেছেন। এই নিয়েও ভাজ্জি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলছেন, ‘রোহিত শর্মা, হার্দিক পাণ্ডিয়া এরা অনেক বড় প্লেয়ার। ওরা যখন খেলছে, তখন ওদেরকে ওদের মতো করেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দেওয়া উচিত, তাতেই দলের মঙ্গল। ওরা একসঙ্গে অনেক ট্রফি জিতেছে। ওদের ওপর আরও অনেক ভরসা দেখানো উচিত। কিন্তব কোটিং স্টাফরা বারবার ওদের বিষয়ে নাক গলাচ্ছিল, আর বাইরে থেকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করছে হাত পা নাড়িয়ে। এটা ঠিক নয় ’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *