শোভন-বৈশাখী! বিগত কয়েক মাসে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা পেরিয়ে বাঙালির ড্রয়িং রুমের চর্চিত নাম হয়ে উঠেছেন দুজনে। সোমবার শোভনের ঘরওয়াপসি ঘিরে তুমুল হইচই। সহবাস সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।দু-দিন আগেই ছিল বৈশাখী কন্যা মহুলের জন্মদিন। এই বছরও ধুমধাম করে মেয়ের জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন বৈশাখী। শোভন-রত্নার ডিভোর্স মামলা খারিজ হয়ে গেলেও তার প্রভাব পড়েনি শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কে। দোল হোক আর দুর্গাপুজো, এই ‘সুপারহিট জুটি’কে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই।
সোমবার ১৩ বছরে পা দিল বৈশাখী কন্যা। শোভন-বান্ধবী ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের মেয়ে মহুল। তাঁর ভালো নাম রিলিনা। শহরের নামজাদা স্কুলে পড়াশোনা করে এই কিশোরী।
চলতি বছর মহুলের জন্মদিনের থিম ছিল নীল-সোনালি। নীলাম্বরি সাজে বৈশাখী। মায়ের শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং লেহেঙ্গায় মহুল। নীল পাঞ্জাবি আর মোটা পাড়ের সাদা ধুতিতে শোভন।
নীল-সোনালি বেলুনে সেজে উঠেছিল গোটা বাড়ি। শোভনের বাড়ির সহকারীরাও উপহারে ভরিয়ে দিল মহুলকে। ইউনিকর্ন কেট কাটল বৈশাখী কন্যা। শোভনের থেকেও পেয়েছে বিশেষ উপহার। মহুল ও শোভন একে-অপরকে ভালোবেসে দুষ্টু নামে ডাকে। এই মেয়ে অন্ত প্রাণ শোভন। ঘুরতে যাওয়ার যায়গা হোক, বা বাড়ির মেনু, রেস্তোরাঁ, সবই পছন্দ করেন ‘দুষ্টু’ শোভন, বৈশাখী-কন্যার মতামত নিয়েই।
মহুলের বেডরুমের ঝলকও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন বৈশাখী। তাঁর পছন্দের সফট টয়েজ দিয়ে সাজানো গোটা রুম। বেডের ঠিক পিছনের দেওয়ালে অজস্র প্রজাপতি

শুধু পুতুল নয়, বিছানার দু-পাশে ঠাকুরের ছোট ছোট মূর্তিও সাজিয়ে রেখেছে। যা স্পষ্ট করে দেয় রিলিনা কিন্তু ঠাকুর ভক্ত।
অনেকেরই হয়ত অজানা, নিজের বায়োলজিক্যাল বাবা মনোজিৎ-এর পদবি ব্যবহার করে না মহুল। বৈশাখী-কন্যা তার দুষ্টুকে জানিয়েছিল, সে আর বাবা মনোজিতের পদবি ব্যবহার করতে চায় না। আর বছর খানেক তারই ব্যবস্থা করে দেন শোভন। সেই সার্টিফিকেট দেয় যেখানে সে কেবল রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডল নয়। এভাবেই পালিত কন্যার সব আবদার, সব চাহিদা পূরণ করেন শোভন। বৈশাখীর কথায়, শোভন মহুলের বাবার চেয়েও বেশি।