বৌমা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে!

Spread the love

বৌমা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।তনুর বাপের বাড়ি থেকে ফোন করলে বার বার একটাই কথা বলত শ্বশুর শাশুড়ি।যে তরুণী দিনের পর দিন মুখ বুঝে স্বামী,শ্বশুর,শাশুড়ির অত্যাচার সহ্য করত সে পালিয়ে যাবে,তাও কিনা প্রেমিকের সাথে?কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিল না তরুণীর পরিবার।বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে সোনার গয়না,টাকা আনার জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।না বললেই চড়,থাপ্পড়, লাথি জুটতো নিরীহ গৃহবধূর কপালে।

বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় অরুণ ও তনু রাজপুতের।হঠাৎই বৌমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।প্রেমিকের সাথে নাকি পালিয়েছে।কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না বাপেরবাড়ির লোকজন।সবই তো ঠিকঠাক ছিল তাহলে হঠাৎ দুই মাস ধরে মেয়ের ফোনে পাচ্ছি না কেন?সন্দেহ হয় তাদের।তার পর তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তনুর খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। কিছুতেই তাঁর হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। তনুর শ্বশুরবাড়ির পাড়ার লোকেদেরও সন্দেহ হয় বিষয়টি নিয়ে। তাঁদেরই কয়েক জন পুলিশের কাছে জানান, গত এপ্রিলে বাড়ির পিছনের রাস্তা খুঁড়তে দেখেছিলেন তনুর শ্বশুরকে। জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দাবি করেন, বাড়ির নিকাশি নালায় সমস্যা হয়েছে। তাই সারানো হচ্ছে। আর এখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। রাস্তা উপর দিয়ে ঢালাই হয়ে যাওয়ায় বোঝার কোনও উপায় ছিল না। মাটি খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। তার পর রাস্তা খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ ফুট খোঁড়ার পর হঠাৎ এক জনের পা দেখতে পাওয়া যায়। মাটি সরাতেই তনুর দেহ উদ্ধার হয়।ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদাবাদের রোশননগরে।

শুক্রবার সকালে তনুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তনুর বোন প্রীতির অভিযোগ, ২০২৩ সালে বিয়ে হয় তাঁর দিদির। বিয়ের পরই সোনার গয়না, টাকা দাবি করতে থাকেন অরুণ এবং তাঁর বাবা-মা। প্রীতি জানিয়েছেন, যতটা সাধ্যের মধ্যে ছিল অরুণদের দাবি মেটানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও ক্রমাগত দাবি বাড়ছিল। প্রীতির কথায়, ‘‘মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু হয় তনুর উপর। বিয়ের কয়েক মাস পরেই বাপের বাড়িতে চলে এসেছিল দিদি। এক বছর আমাদের সঙ্গে থাকার পর আবার শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি শুধরোয়নি। আবার শুরু হয় অত্যাচার। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিত না শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *