বৌমা সোনমকে নিয়ে মুখ খুললেন মেঘালয়কাণ্ডের রাজার মা

Spread the love

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়েছিল দম্পতি। আর সেখানেই রাজা রঘুবংশীকে কে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী সোনম ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

গত মাসে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় নিহত রাজা রঘুবংশীর মা বৃহস্পতিবার সোনম রঘুবংশীর বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, ‘ও (সোনম) অনেক বেশি বিভ্রান্ত করছে। তাকে পুরো সত্যিটা বলতে হবে। কেন সে রাজাকে খুন করল তা না বলা পর্যন্ত ওকে হেফাজতে রাখতে হবে। উমা রঘুবংশীও তাঁর প্রয়াত ছেলের কথা স্মরণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলতে থাকেন, কেন সোনম আমার ছেলেকে খুন করালো?

তিনি বলেন, তাকে, তার বন্ধুরা এবং তার ঘনিষ্ঠ সকলকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আমার ছেলের কী দোষ ছিল, কেন সে তাকে হত্যা করল? সোনমের মুখ থেকে সরাসরি এর উত্তর না শোনা পর্যন্ত শান্তি পাব না।

গত ২৩ মে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম। ২ জুন, পূর্ব খাসি পাহাড় জেলার চেরাপুঞ্জি নামে পরিচিত সোহরা এলাকার একটি জলপ্রপাতের কাছে একটি গভীর গিরিখাত থেকে রঘুবংশীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। সোনমের খোঁজে তল্লাশি চলতে থাকলে ৯ জুন ভোরে ঘটনাস্থল থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে।

পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের প্রায় দুই সপ্তাহ পর মধুচন্দ্রিমার সময় স্বামী রাজাকে খুন করার জন্য সোনম তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বলে অভিযোগ। তিনজন অভিযুক্ত আকাশ ঠাকুর, আনন্দ কুর্মি এবং বিশাল চৌহান বন্ধু এবং তাদের মধ্যে একজন রাজের খুড়তুতো ভাই ১৯ জুন শিলংয়ের জেলা দায়রা আদালত সোনম রঘুবংশী ও রাজ কুশওয়াহাকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়, বাকি অভিযুক্ত আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান এবং আনন্দকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *