জম্মু ও কাশ্মীর বরাবর নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে ক্রমাগত শেলিং চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনা। কাশ্মীরের নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের বীরত্ব প্রমাণের চেষ্টা করছে তারা। তবে এই পাকিস্তানি সেনাই নিজেদের দেশে মার খাচ্ছে। গতকাল বালোচিস্তানে পাক সেনার ৭ থেকে ১২ জওয়ানের মৃত্যু হয় বিএলএ-র হামলায়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পাকিস্তানি সেনার কনভয়তে আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বালোচিস্তানে। তাতে ১২ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন বিএলএ (বালোচ লিবারেশন আর্মি)। পাক সেনার ওপর এই হামলাটি হয়েছিল বালোচিস্তান মাচ এলাকায়। প্রত্যন্ত এলাকা দিয়ে পাকিস্তানি সেনার গাড়ি যাওয়ার সময় সেটি বিস্ফোরণে উড়ে যায়। ঘটনার ভিডিয়োতে দেখা যায় বিস্ফোরণের পর এক একটা দেহ ছিটকে পড়ছে।
বালোচ আর্মির প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বিস্ফোরণের পর গাড়িতে থাকা পাক সেনারা হাওয়ায় উড়ে গিয়ে বেশ কয়েক মিটার দূরে পড়ে। তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তাদের দাবি, এই বিস্ফোরণে শহিদ জওয়ানের সংখ্যা ৭।উল্লেখ্য, ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানো পাকিস্তান নিজের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে পুড়ছে বহুদিন ধরেই। এর আগে সম্প্রতি বালোচিস্তানের কালাতে পাকিস্তানি সরকারি অফিসে হামলার চালিয়েছিল বিদ্রোহীরা। এরই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক বন্দুকধারী কোয়েটা-করাচি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়া যানবাহন থেকে নামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং আইডি চেক করা হচ্ছে। কেউ পঞ্জাবি বা পাক সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তাকে আর যেতে দেওয়া হচ্ছিল না।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কালাত জেলার মঙ্গোচর এলাকায় বালোচ বিদ্রোহীরা অনেক সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এই ভবনগুলির মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের অফিস, স্থানীয় আদালত এবং বেশ কয়েকটি বিভাগের অফিস রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনে বহুতলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাছাকাছি অবস্থিত পাকিস্তানের একটি সেনা ক্যাম্পেও হামলা হয় বলে জানা গিয়েছিল।