সন্ত্রাসবাদের সমার্থক হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। পহেলগাঁও হামলার পর থেকে এই পাকিস্তানই এখন ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে ভীত। এই আবহে তারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয়েছে। নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ভারতীয় হামলা থেকে বাঁচতে তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের প্ল্যাটফর্ম বানাতে চাইছে রাষ্ট্রসংঘকে। এই কারণেই পহেলগাঁও পরবর্তী পরিস্থিতির বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার দাবি জানিয়েছে তারা।
এই আবহে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে শীঘ্রই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে গ্রিস। পাকিস্তান বলেছে, তারা বিষয়টি কাউন্সিলে উত্থাপন করেছে এবং এই ইস্যুতে সব বিকল্প খোলা রাখছে। রাষ্ট্রসংঘে গ্রিসের স্থায়ী প্রতিনিধি ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ইভানজেলোস সাকারিস বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি। আমি মনে করি, খুব শিগগিরই এই বৈঠক হতে পারে।’

এরপর রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ শুক্রবার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উস্কানিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে ভারত। তাদের কর্মকাণ্ড উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। আমাদের কাছে পোক্ত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।’ তিনি বলেন, ‘ভারত যদি আগ্রাসন অবলম্বন করে তবে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের সনদে বর্ণিত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে।’পাক কূটনীতিক বলেন, পাকিস্তান এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব, সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি, ওআইসি গ্রুপ এবং নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরেছে। তিনি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ভারতের সিদ্ধান্তকে একতরফা ও অবৈধ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করা কোনও অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।