ভারতীয় সেনাকে ভুলভাল বলায় ধাওয়ানের ‘থাপ্পড়’ খান

Spread the love

শিখর ধাওয়ানের হাতে ‘থাপ্পড়’ খেয়েও সবক শিখলেন না শাহিদ আফ্রিদি। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে ভারতীয় সেনাকে ‘অকর্মণ্য’ বলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে কার্গিল যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় উত্তর দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ধাওয়ান। আর সেটার প্রেক্ষিতে জুতসই কোনও জবাব না পেয়ে নোংরামি করলেন আফ্রিদি। সেনার মতো জলপাই রঙের টি-শার্ট পরে এবং হাতে কাপ নিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘জেতা-হারার কথা ছাড়ো। আসো, তোমায় চা খাওয়াই শিখর।’ সেইসঙ্গে ‘ফ্যান্টাস্টিক টি’ (দুর্দান্ত চা) শব্দও ব্যবহার করেন। যে শব্দটা নেহাত হালকা চালে বলা হয়েছে মনে হলেও নেটিজেনদের মতে, আদতে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ে নোংরা আক্রমণ করেছেন আফ্রিদি। ২০১৯ সালে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পরে ‘ডগ-ফাইটের’ সময় পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিনন্দন। পাকিস্তানে থাকার সময় শান্তভাবে তিনি বলেছিলেন, ‘চা’টা দুর্দান্ত (ফ্যান্টাস্টিক)।’

ভারতীয় সেনাকে নোংরা আক্রমণ করেছিলেন আফ্রিদি

নেটিজেনদের মতে, অভিনন্দনের সেই কথা নিয়েই নোংরামি করেছেন আফ্রিদি। যিনি পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতকে নিয়ে নোংরামি শুরু করেছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভিতে তিনি বলেছিলেন, ‘ওখানে বাজি ফাটালেও ওরা (ভারত) পাকিস্তানের উপরে দোষ চাপাবে। কাশ্মীরে তোমাদের আট লাখ ফৌজি আছেন। তারপরও এরকম ঘটনা ঘটল। সেটার অর্থ হল যে আপনারা (ভারতীয় সেনা) অকর্মণ্য। আপনারা লোকেদের সুরক্ষা দিতে পারেন না।’

‘জঙ্গিদের আদর করে রাখা’ দেশ পাকিস্তানের প্রাক্তনী আফ্রিদি

সেখানেই থামেননি ‘জঙ্গিদের আদর করে রাখা’ দেশ পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার। যে দেশের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিট্যান্স ফ্রন্টই পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরও ন্যূনতম লজ্জার পরিবর্তে গলা ফাটিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘হামলার এক ঘণ্টার মধ্যেই ওদের মিডিয়া বলিউডে পরিণত হল। দয়া করে সবকিছুকে বলিউড করবেন না। আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বরং ওরা যেভাবে কথা বলছিল, সেটা আমি তো উপভোগ করছিলাম।’

‘কার্গিলেও হারিয়েছিলাম’, আফ্রিদিকে ‘থাপ্পড়’ মারেন ধাওয়ান

আফ্রিদির সেই নোংরামির পালটা দেন ধাওয়ান। তিনি বলেন, ‘কার্গিলেও হারিয়েছিলাম। এখনই এতটা নীচে পড়ে আছো যে আর কত নীচে নামবে? অহেতুক মন্তব্য করার পরিবর্তে নিজের দেশের উন্নতির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করলে ভালো হয়। আমাদের ভারতীয় সেনাকে নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত আমরা। ভারত মাতা কী জয়! জয় হিন্দ!’

আর কার্গিল-সহ ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুদ্ধে হারের হয়তো জ্বালা থেকেই আফ্রিদি আবারও নোংরামির পথ বেছে নিলেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *