ভারতের ‘আইসিস’ প্রধান সাকিবের মৃত্যু

Spread the love

ইসলামিক স্টেট (আইসিস) ভারতীয় শাখার প্রধান এবং নিষিদ্ধ স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া (সিমি)-র প্রাক্তন নেতা সাকিব নাচানের মৃত্যু। স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া সংগঠনের সঙ্গে আইসিসের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। এমনকী দেশের অনেক যুবককেই সিমির মাধ্যমে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীতে নিযুক্ত করা হয়েছিল। আর সেই কাজ করাত এই সাকিবই।তাই তাকে ভারতের আইসিসের প্রধান বলা হতো।

শনিবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাকিব নাচানের। ২০২৩ সালে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের পড়ঘা অঞ্চলে আইসিসের একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে গ্রেফতারি হয় সাকিব। তারপর থেকেই তিহার জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিল সে। সম্প্রতি সাকিব শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল।মঙ্গলবার তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তারপরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরপরই তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। চার দিন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিল। শনিবার মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাকিব আব্দুল হামিদ নাচান মহারাষ্ট্রের থানে জেলার পড়ঘা শহরের বাসিন্দা। ১৯৯০-এর শেষের দিকে এবং ২০০০ সালের গোড়ার দিকে, সিমির একজন সিনিয়র সদস্য ছিল সে। ২০০১ সালে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তখন থেকেই তদন্তকারী সংস্থাগুলির রাডারে ছিল সাকিব নাচান। মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে সাকিবের নাম উঠে আসে। সাকিব ২০০২-২০০৩ সালে মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল রেল স্টেশন, ভিলে পার্লে এবং মুলুন্ড রেল স্টেশনে বিস্ফোরণে ঘটনায় যুক্ত ছিল। সেই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েক শো মানুষ। ২০০৭ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১০ বছর সাজা কাটানোর পর ২০১৭ সালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেল থেকে ছাড়া পেতেই সন্ত্রাসি কার্যকলাপ ফের শুরু করে সাকিব। থানে জেলার একটি গ্রামকে ইসলামিক শাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে সে। এরপর ২০২৩-এ ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, এবারে গ্রেফতারির পর তাঁকে মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়ছিল। সেখানেই তিহার জেলে বন্দি ছিল সে। চলতি বছরের জুন মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন তাঁর মৃত্যু হলে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *