ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের জারি করা নিষেধাজ্ঞা নিজেরাই মানছে না পাকিস্তান?

Spread the love

পাকিস্তান থেকে সরাসরি বা তৃতীয় কোনও দেশের মাধ্যমে আসা সমস্ত পণ্য আমদানি এবং ট্রান্সশিপমেন্টের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। সংঘর্ষবিরতি সমঝোতা হলেও এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেনি ভারত। তবে এরই মধ্যে পাকিস্তান নাকি তৃতীয় দেশের মাধ্যমে ভারতে পণ্য পাঠানোর চেষ্টা শুরু করেছে। এই আবহে মোদী সরতার তৎপর হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারানোর পরে বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ভারতের তরফ থেকে। এদিকে দিল্লির দেখাদেখি একই নির্দেশ জারি করেছিল পাকিস্তানও। তবে নিজেদের নিষেধাজ্ঞা আবার নিজেরাই লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। 

রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান কৌশলে তৃতীয় একটি দেশের মাধ্যমে ভারতে পণ্য পাঠানোর চেষ্টা করতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার পাকিস্তান সম্পর্কিত পণ্যের উপর কঠোর পদক্ষেপ শুরু করেছে। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) এই নিয়ে নজরদারি বাড়িয়েছে। পাকিস্তান থেকে কোনও পণ্য যাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তৃতীয় কোনও দেশের মাধ্যমে ভারতে পৌঁছাতে না পারে, সেই পথ আটকানো শুরু করেছে ডিআরআই।

উল্লেখ্য, গত ২ মে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্য আমদানি ও ট্রানজিট নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। এরপরই কঠোর নজরদারি শুরু করেছিল শুল্ক বিভাগ। সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, প্রজ্ঞাপন জারির আগে যেসব কনটেইনার সমুদ্রপথে ছিল, সেগুলোও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। যদিও সাধারণত এ ধরনের ক্ষেত্রে সেই সব কন্টেইনারকে ছাড় দেওয়া হয়।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক আধিকারিক দাবি করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তৃতীয় দেশগুলির মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যগুলি সনাক্ত করা সহজ নয়। তবে কর্মকর্তারা বলছেন যে লেবেল এবং প্যাকেজিংয়ের তথ্য খতিয়ে দেখে আসল তথ্য বের করছে তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি হয়ে পাকিস্তানি খেজুর ও ড্রাই ফ্রুটস ভারতে আসছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং বিষয়টি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সরকারের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।

পুলওয়ামা হামলার আগে ২০১৮-১৯ সালে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪,৩৭০.৭৮ কোটি টাকা। এরপর ২০২২-২৩ সালে তা কমে হয়েছিল ২,২৫৭.৫৫ কোটি টাকা। তারপর ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩,৮৮৬.৫৩ কোটি টাকায়। তবে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ করে দিল ভারত। এদিকে ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানকে সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা দিয়েছিল ভারত। যদিও পাকিস্তান ভারতকে সেই মর্যাদা কখনও দেয়নি। তবে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের এমএফএন স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। এখন পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সরকার কঠোর পদক্ষেপ করছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *