মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করার জন্য বরাবরই অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে পাকিস্তান। পহেলগাঁও পরবর্তী সময়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাত নিয়েও সেই পথেই হাঁটার চেষ্টা করল ইসমাবাদ। তবে সেই পদক্ষেপ করতে গিয়ে ধাক্কা খেল পাকিস্তান।
বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন এই অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি। এই সংগঠনের বৈঠক হচ্ছিল জাকার্তায়। সেখানেই ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তবে তাদের অ্যাজেন্ডা আটকে দেয় বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। তারা এই বৈঠকের আয়োজকও ছিল।
ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও বাহরাইন ও মিশরও পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মে থেকে ওআইসির পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে পাকিস্তান নিজেদের অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করার চেষ্টা করে।

ইন্দোনেশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুবিয়ান্তো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন ভারতে। এমনকী দিল্লির অনুরোধে তিনি পাক সফর স্থগিত করে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করেছে ইন্দোনেশিয়া।পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরও ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। তাতে ইন্দোনেশিয়া বলেছিল, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা ভারতের পাশে আছি। শুধু তাই নয়, গত এক দশকে বাহরিন ও মিশরের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কও মজবুত।