স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি রফতানির ওপর ভারতের বিধিনিষেধের প্রতিক্রিয়ায় মুখ খুললেন বাংলাদেশি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরুদ্দিন। সোমবার তিনি দাবি করেন, বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনও আনুষ্ঠানিক বার্তা পাননি। তিনি বলেন, ভারতের পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। আমরা অফিশিয়ালি জানার পর ব্যবস্থা নিতে পারব। কোনও সমস্যা দেখা দিলে উভয় পক্ষ আলোচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
এর আগে স্থলবন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি পণ্য প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। সেইসঙ্গে হিলি এবং বেনাপোল দিয়ে ভারতীয় চাল প্রবেশের উপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপায় বাংলাদেশ। এর পালটা পদক্ষেপে এবার বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে ছাড়বে ভারত। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ইউনুসের হম্বিতম্বির জেরে মাথায় হাত পড়বে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের রফতানিকারকদের বক্তব্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। তবে বর্তমানে ভারত যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। স্থলপথে যে পণ্য তিনদিনে রফতানি করা যায়, বন্দর দিয়ে তা পাঠাতে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে। এতে খরচও বাড়বে।
এদিকে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান আবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষিক বাণিজ্যে আমরা সুসম্পর্ক আশা করি। এই আবহে আমরা বিষয়টি আমরা গভীরভাবে দেখছি। এভাবে বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ বাড়লে উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে দর-কষাকষি করব।’ এদিকে তিনি আরও মনে করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে নাকি ভারতীয় ব্যবসায়ীরাই আবেদন জানাবেন।

ল্লেখ্য, এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, ভারতের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি ‘রেডিমেড’ পোশাক ঢুকবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতা এবং মুম্বইয়ের নভশেবা সমুদ্র বন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে বাংলাদেশি ‘রেডিমেড’ পোশাক।সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতাধীন বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের (ডিজিএফটি) তরফে জানানো হয়েছে, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনও স্থলবন্দর বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এবং পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি ও চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ফল, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস, কাঠের আসবাবপত্র, প্রক্রিয়াজাত খাবার (বেকড খাবার, স্ন্যাকস, চিপস), সুতোর মতো কোনও জিনিস ঢুকতে দেওয়া হবে না।